২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩০, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

জনবল সঙ্কটে ব্যাহত চিকিৎসাসেবা

দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স -

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ভোগান্তির আরেক নাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সঙ্কটে প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাবাসী। দেখার যেন কেউ নেই। সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শষ্যা থেকে ৫০ শষ্যায় উন্নতিকরণ ও সম্প্রসারিত করা হয়, কিন্তু ভবনের পূর্ণতা থাকলেও জনবল সঙ্কটে সুফল পাচ্ছেন না প্রত্যন্ত এই অঞ্চলের সেবাপ্রত্যাশিরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন জন মেডিক্যাল অফিসারের পদ শূন্য, একজন ডেন্টাল সার্জন, একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ, একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, একজন সার্জারি বিশেষজ্ঞ, একজন আবাসিক চিকিৎসক, একজন এক্সরে টেকনিশিয়ানসহ একজন ডেন্টাল টেকনিশিয়ানের পদ শূন্য থাকায় কাক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দোয়ারাবাজার উপজেলার মানুষজন।
এ ছাড়াও ডায়বেটিস ও প্রেসারের ওষুধ নিয়মিত আসছে না। দাঁতের চিকিৎসায় অত্যাধুনিক ‘রোগী চেয়ার’ থাকলেও দাঁতের ডাক্তার ও টেকনিশিয়ানের অভাবে দাঁতের চিকিৎসাসেবা ব্যহত হচ্ছে।

এদিকে, উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সাতজন চিকিৎসা কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও চারটি পদই শূন্য রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্ত্রোপচারের সব ব্যবস্থা থাকলেও শুধু চিকিৎসকের অভাবে তা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি আধুনিক এক্স-রে যন্ত্র থাকলেও রেডিওগ্রাফারের পদ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে শূন্য থাকায় সেটিও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ৬০০-৮০০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ এ পোস্টগুলোতে জনবল সঙ্কটে সেবার পরিবর্তে ভোগান্তিতে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী জানান, জরুরি ও বহির্বিভাগে গিয়ে চিকিৎসকের দেখা পাই না। বাধ্য হয়ে লোকজনকে সুনামগঞ্জ অথবা সিলেটে চিকিৎসার জন্য যেতে হয়।
দোয়ারাবাজার উপজেলাটি প্রত্যন্ত ও সীমান্তবর্তী হওয়ায় এখনো এ উপজেলার মানুষজন রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাসহ স্বাস্থ্য সেবা থেকে পিছিয়ে আছেন। ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সই তাদের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এ উপজেলার ৯০% মানুষই খেটে খাওয়া। পরিবারের একজন সদস্যের চিকিৎসা সেবা নিতে হলে একদিনের রোজগারের অর্থ খরচ করে সদরে আসতে হয়। কিন্তু ভরসার এ জায়গায় এসে যখন চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়ে ভোগান্তিতে পড়ে, তখন তাকে যেতে হয় জেলাশহর অথবা বিভাগীয় শহরে। অধিকাংশ রোগীই তখন অর্থাভাবে বাড়িতে ফিরে আসে। অনেকের আর্থিক সঙ্কটে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

অন্যদিকে. ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথমে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি মেজর সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। তবে গাইনি সার্জন না থাকাতে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই অপারেশনসহ চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি ও ২৪ সেপ্টেম্বর তিন বার সিজারিয়ান অপারেশন করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প.কর্মকর্তা ডা: আবু সালেহীন খান জানান, জরুরি ও বর্হিবিভাগে নিয়মিত চিকিৎসক না পাওয়ার অভিযোগটি সত্য। জনবল সঙ্কটে আমরা শতভাগ সেবা দিতে পারছি না। আশা করি, কিছুদিনের মধ্যে একটা ব্যবস্থা হবে।
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা: জসিম উদ্দিন জানান, সুনামগঞ্জের অন্য একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে জনবল এনে দোয়ারাবাজারের কিছুটা ঘাটতি পূরণ করা হবে। বাকি শূন্য পদগুলা নতুন নিয়োগ হলেই পূরণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement
আ’লীগ ১৪ দল জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি পুলিশের মূর্তিমান আতঙ্ক ধনঞ্জয়ের খোঁজ মিলছে না বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার বাইরে এখনো ৪৫০ কোটি মানুষ ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবস বাতিলের মিছিলে পিটুনি যুদ্ধ বন্ধ ও সেনা প্রত্যাহার ছাড়া কোনো বন্দিমুক্তি নয় : হামাস ২৯৭ কোটি টাকার কাজ পাচ্ছে গত সরকারের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান! তহবিল ব্যবস্থাপনায় কাহিল পুনর্গঠিত ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিএসএমএমইউতে কম টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন বন্ধ শিগগিরই শুরুর আশ্বাস হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদার ৩ দিনের রিমান্ডে জান্তা পতনে মিয়ানমারে মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এক সাথে লড়ছে ইলেকশন কমিশন গঠনে দ্রুতই সার্চ কমিটি হবে : মাহফুজ

সকল