পা দিয়ে লিখে জিপিএ ৫ পেলেন মানিক
- ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
- ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর দৃঢ় মনোবল নিয়ে নিজের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে এবার এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছেন মানিক রহমান। তিনি এখন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামে ওষুধ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ও প্রভাষক মরিয়ম বেগমের ছেলে প্রতিবন্ধী মানিক বাবা-মা ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় নিজের আত্মবিশ্বাস ও মনোবলকে পুঁজি করে পা দিয়ে লিখে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষায়ও গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। এবারের এইচএসসিতেও তিনি সেই কৃতিত্বপূর্ণ ফলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছেন। পরীক্ষার ফল প্রকাশের দিন পা দিয়ে ল্যাপটপ চালিয়ে নিজের এইচএসসি পরীক্ষা রেজাল্ট তিনি নিজেই দেখেন। তার এমন কৃতিত্বপূর্ণ পাশের খবর শুনে সবাই মুগ্ধ।
মানিক বলেন, আমার দু’টি হাত না থাকলেও আল্লাহর অশেষ রহমতে এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছি। আমি এর আগের দু’টি পরীক্ষায়ও গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছি। সবার দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে আমি বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ভবিষ্যতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করব।
মানিকের বাবা মিজানুর রহমান ও মা মরিয়ম বেগম বলেন, আমাদের দুই ছেলে। বড় ছেলে মানিক যে শারীরিক প্রতিবন্ধী, এটা আমরা মনে করি না। আমরা তাকে ছোট থেকেই পা দিয়ে লেখার অভ্যাস করিয়েছি। সমাজে অনেক সুস্থ ও স্বাভাবিক ছেলে-মেয়েদের সাথে প্রতিযোগিতা করে মানিক পিএসসি ও জেএসসি ও এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এটা আমাদের গর্ব। সবাই আমার ছেলেটার জন্য দোয়া করবেন, সে যেন সুস্থ সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারে।
সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার পরেও মানিক রহমান আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার ভালো ফলাফলের জন্য আমরা সবাই মুগ্ধ। তার স্বপ্ন পূরণে সারাক্ষণই দোয়া করি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা