বাবুগঞ্জে সওজের জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ
- উজিরপুর (বরিশাল) সংবাদদাতা
- ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:৫৯
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর সেতুর সংযোগ সড়ক ঘেঁষে সরকারি জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে একাধিক দোকানঘর। এরই মধ্যে ১০টি ঘরের কাঠের ফ্রেম বসিয়েছেন বিএনপি ও স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা এবং তার পরিবারের সদস্যরা। তবে জমির মালিক সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের বরিশাল দফতরের কর্মকর্তাদের এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর পশ্চিম প্রান্তের সংযোগ সড়কের পূর্ব পাশে কাঠ দিয়ে ১০টি দোকানঘরের কাঠামো নির্মাণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দখলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাবুগঞ্জ টেম্পো (মাহিন্দ্রা) শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক আলী হোসেন। বিএনপি সমর্থক হিসেবে পরিচিত আলী হোসেনের বাড়ি দোকানঘরগুলোর পেছনেই। এ ছাড়া তার চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন, বারেক মিয়া, মো: আলম, কালু মিয়া, ভাতিজা শহীদ, ভাগ্নি জেসমিন ও পপি প্রত্যেকে আলাদা দোকান তৈরি করছেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, মহাসড়কের ব্যস্ততম এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত। কাছেই রয়েছে স্থানীয় রহমতপুর বাজার ও বাসস্ট্যান্ড এবং বরিশাল বিমানবন্দর। সেতুর যে প্রান্তে দোকানঘর নির্মিত হচ্ছে, তার পূর্বদিকে রয়েছে হিজলা-মুলাদী সড়ক ও মহাসড়কটির সংযোগমুখ। এর আগে বিভিন্ন সময় সওজ উচ্ছেদ অভিযান চালালেও কিছু দিনের মধ্যেই এখানে নতুন ঘর তোলা হয়।
এ বিষয়ে আলী হোসেন বলেন, টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয় করার জন্য তিনি একটি ঘর তৈরি করছিলেন। তার দেখাদেখি বাড়ির অন্যরাও ঘর তুলতে শুরু করেন। তিনি দাবি করেন, ওই জমির মূল মালিক ছিলেন তার দাদা আজহার আলী। কয়েক বছর আগে পুরাতন সেতুর পাশে নতুন সেতু নির্মাণ করে সওজ। ওই সময় মহাসড়কের জন্য সওজ জমিটি অধিগ্রহণ করে। তবে বিনিময়ে তারা টাকা পাননি। এরপর যে খালি জমি রয়েছে, সেখানে তারা ঘর তুলছেন।
সওজের বরিশালের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আল-আমিন বলেন, দখলদারদের চিহ্নিত করে তালিকা করা হয়েছে। নির্মাণকাজ বন্ধের জন্য তাদের চিঠি দেয়া হলেও শুনছেন না। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকের দফতর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।