কমলগঞ্জে ও শাহাবাজপুরে জনপ্রিয় পাহাড়ি সবজি ‘বাঁশ কোড়ল’
- আব্দুল হামিদ কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
- ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:৫৮
কাষ্ঠল চিরহরিৎ একটি উদ্ভিদ বাঁশ। ঘরবাড়ি তৈরি, আসবাবপত্র তৈরি ইত্যাদি কাজে এটির ব্যবহার প্রচুর। তবে পাহাড়ি অঞ্চলে কচি বাঁশ সবজি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই বর্ষা মৌসুমে শাহবাজপুর বাজারগুলোতে সবজি বিক্রেতা ও ক্রেতাদের কাছে বাঁশ কোড়ল বেশ প্রিয়। এই কোড়ল মূলত পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের সবজির তালিকায় পছন্দের একটি সবজি।
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার সাতটি উপজেলায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অন্যতম এবং জনপ্রিয় সুস্বাদু খাবার এই বাঁশ কোড়ল। পাহাড়ের গহিনে প্রায় সব স্থানেই মেলে এ সবজিটি। বর্তমানে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের পাশাপাশি অনেক বাঙালিদেরও প্রিয় খাবার এটি। বাঁশ পরিপূর্ণ গাছে পরিণত হওয়ার আগেই যখন এটি কচি অবস্থায় থাকে তখন এটিকে সংগ্রহ করা হয় সবজি হিসেবে।
বছরের মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এ সবজির ভরা মৌসুম থাকে। মুলি বাঁশ, ডলু বাঁশ, মিতিঙ্গ্যা বাঁশ, ফারুয়া বাঁশ, বাজ্জে বাঁশ, কালিছুরি বাঁশসহ বেশ কয়েক প্রজাতির বাঁশের কোড়ল পাওয়া যায় স্থানীয় বাজারগুলোতে। প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র মানুষেরা বনের গহিন থেকে এই বাঁশ কোড়ল সংগ্রহ করে বাজারে নিয়ে আসেন বিক্রি করতে। মাটি থেকে ৪-৫ ইঞ্চি গজিয়ে উঠলেই এটি খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে। বাঁশের জাতের ভিন্নতার সাথে সাথে বাঁশ কোড়লের স্বাদেও ভিন্নতা আছে।
শাহবাজপুর বাজার এলাকার এক সবজি বিক্রেতা জানান, মুলি বাঁশের কোড়ল সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু। বর্ষা মৌসুমে প্রতিদিন সকাল-বিকেল জেলা ও উপজেলা শহরে এবং স্থানীয় হাটবাজারে আগে প্রচুর পাওয়া যেত এই বাঁশ কোড়ল। এখন খুব একটা চোখে পড়ে না। স্থানীয়রা বলেন, বাঁশ প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই বাঁশ কোড়লও এখন তেমন আর বাজারে পাওয়া যায় না।
ডা: নরুল আম্বিয়া বলেন, বাঁশ কোড়ল বেশ সুস্বাদু এবং উপকারী একটি সবজি। এর পুষ্টিগুণ এবং বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেতে এর ভালো ভূমিকা আছে। চীনারা বাঁশ কোড়লকে ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’ বলে থাকেন।
শাহবাজপুর বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসা এক বাঁশ কোড়ল বিক্রেতা বলেন, প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে বনের গহিনে যাই বাঁশ কোড়ল সংগ্রহ করতে। বিকেলে বাজারে নিয়ে আসি বিক্রি করতে। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকার বাঁশ কোড়ল বিক্রি করি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা