০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

কমলগঞ্জে বিলুপ্তির পথে জাতীয় পাখি দোয়েল

কমলগঞ্জে বিলুপ্তির পথে জাতীয় পাখি দোয়েল -

মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা কমলগঞ্জ উপজেলা। এখানকার গ্রামের মাঠেঘাটে, চা বাগানে ও পাহাড়ি এলাকা আগে অনেক দোয়েল পাখির দেখা মিলতো। সকালের দোয়েলের শিষ শুনে ঘুম ভাঙত। শুধু দোয়েল পাখিই নয়; এ অঞ্চলের গাছে গাছে বিচরণ করত নানা জাতের ও নানা বর্ণের পাখি।
কিন্তু কালের বিবর্তনে জাতীয় পাখি দোয়েল এখন বিলুপ্তির পথে। ভোর বেলায় চেনা পাখির সেই মধুর শিষ এখন আর ভেসে আসে না। সকাল সন্ধ্যায় পাখির কলরবে মুখরিত গ্রামগুলো এখন প্রায় পাখিশূন্য। বনজঙ্গলে অপরূপ শোভা বর্ধনকারী নানা রঙের পাখির দেখাও মেলে না এখন। গ্রাম ও বনজঙ্গলের দৃশ্যপট অনেক বদলে গেছে। পরিবেশ দূষণ, নির্বিচারে গাছ কাটা, জমিতে অতিরিক্ত মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার, পাখির খাদ্য সঙ্কট এ সবের প্রভাবে প্রায় বিলুপ্তির পথে জাতীয় পাখি দোয়েলসহ দেশীয় নানা জাতের পাখি।

গত শনিবার কমলগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের উপজেলা ভূমি অফিস কার্যালয়ের সীমানা প্রাচীরে বসে থাকতে দেখা যায় একটি দোয়েল পাখি। একা একা বসে শিষ দিচ্ছিল সে।
দোয়েল পাখি কৃষকের বন্ধু। এরা ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পাখিটি।
পৌর এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক খালেদুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগেও মানুষের ঘুম ভাঙতো পাখির ডাকে। এখন গাছ-গাছালিতে পাখির ডাক শুনা যায় না। গ্রামের প্রবীণরা জানান, সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় বাঁশের ঝাড়, আমের বাগান, বাড়ির ছাদে যেসব পাখির আনাগোনা ছিল সেসব পাখি এখন আর চোখে পড়ে না। তবে কম সংখ্যক ঘুঘু, কাক, মাছরাঙ্গা ইত্যাদি পাখি গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেলেও জাতীয় পাখি দোয়েল তেমন আর চোখে পড়ে না।
কমলগঞ্জ জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি জানায়, পাখি শিকার ও খালবিল নদীনালা ভরাট করে ফেলায় প্রকৃতির সৌন্দর্য পাখি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। পাখি রক্ষায় আমাদের সামাজিক আন্দোলন শুরু করতে হবে। প্রশাসনেরও এ বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে হবে। সেই সাথে পাখি রক্ষায় দেশে প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement