০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

দৌলতপুরে পদ্মার পানি কমায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে

ঝুঁকির মধ্যে বিজিপি ক্যাম্প
ভাঙনের ঝুঁকির মুখে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্প : নয়া দিগন্ত -

পদ্মার ভাঙন থেকে মাত্র ২৫-৩০ মিটার দূরে আছে বিজিবি ক্যাম্প। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালু ফেলায় কোনো উন্নতি নেই সেখানকার। নদীতে পানি কমতে শুরু করায় ভাঙনের আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় এলাকার মানুষের দিন রাত সমান হয়ে গেছে। বলছিলাম কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীর কূলে অবস্থিত উদয়নগরের বিজিবি ক্যাম্পের কথা।
এরই মধ্যে এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি নদীর পেটে চলে গেছে। পানি আরো কমলে পদ্মাপাড়ের মানুষ ভাঙন বাড়ার আশঙ্কা করছেন। আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। কিছুদিন আগে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দৌলতপুর উপজেলার চার ইউনিয়নের অন্তত ৩৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়। তলিয়ে যায় ফসলের ক্ষেত, ভেঙে পড়ে যাগাযোগব্যবস্থা। পানি উন্নয়ন বোর্ড-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভাঙন রোধে কাজ করা ছাড়াও একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম উদয়নগর বেশ কয়েক বছর ধরে ভাঙনের কবলে পড়েছে। এখন ভাঙন থেকে মাত্র ২৫-৩০ মিটার দূরে আছে একটি বিজিবি ক্যাম্প। এরই মধ্যে ভাঙনের কবলে পড়েছে উদয়নগর বিজিবি ক্যাম্পের পাশে থাকা আতারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া রয়েছে দোকানপাট, হাটবাজার, মসজিদসহ নানা স্থাপনা।

এলাকাবাসী জানায়, আর ৫০ মিটারের মতো নদী ভাঙলে বাংলাদেশ অংশে থাকা আরো দু’টি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নদীতে হারিয়ে যাবে। এ ছাড়া ইউনিয়নটির মানিকের চরের পশ্চিম পাশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখন পর্যন্ত আমরা পাঁচবার নদীভাঙনের কবলে পড়েছি।
খারিজাথাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, কাছাকাছি থাকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো ভেঙে যাওয়ায় আমাদেরকে দূরের স্কুলে যেতে হয়। যাতায়াতব্যবস্থা বলতে কেবলই নৌকা। খরচ বেশি হওয়ায় নিয়মিত স্কুলেও যেতে পারি না।
চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মান্নান জানান, নদীর পানি কিছুটা কমায় উদয়নগর ও মানিকের চরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি কমার সাথে এর তীব্রতা আরো বাড়তে পারে।
কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান জানান, উদয়নগর বিওপির ২৫ থেকে ৩০ মিটার দূরে নদীর অবস্থান। এরই মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ২৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। সরকারি এ স্থাপনাসহ এখানে বসবাস করা দুই থেকে তিন হাজার মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করার চেষ্টা করছি।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ জানান, ভাঙনরোধে আমরা কাজ করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে উদয়নগর ও মানিকের চর এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠাব।

 


আরো সংবাদ



premium cement