০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

কাঞ্চনপুরের ১৩টি মৌজার ১২টি পদ্মায় বিলীন

পদ্মার স্রোতে ভেঙে পড়ছে কুশিয়ারচর : নয়া দিগন্ত -

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ১৩টি মৌজার ১২টি ইতোমধ্যে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট রয়েছে গৌড়বড়দিয়া মৌজাটি। অবশিষ্ট মৌজাটিও যায় যায় অবস্থা। তাই এর বাসিন্দারা এখন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ২নং ও ৩নং ওয়ার্ডের পদ্মাতীরবর্তী মালুচি ও কুশিয়ারচরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নতুন করে নদী ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছেন পদ্মাপাড়ের হাজারো মানুষ। ভাঙন ঝুঁকিতে কুশিয়ারচর গায়েনবাড়ি মসজিদ, হোসেন শাহের মাজার ও মালুচি মসজিদ ও অর্ধশতাধিক বাড়িঘর রয়েছে। এ সময় কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শামিম গাজীর সাথে। তিনি জানান, স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের। তিনি আরো জানান, পদ্মার ভাঙনে এ ইউনিয়নের ৭০-৭৫ শতাংশই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। গত তিন বছরে কোর্টকান্দি, মুহম্মদপুর ও বৌদ্ধকানির শত শত বিঘা জমি ও বাড়িঘর ভেঙে গেছে।
শামিম গাজী জানান, নদীর তীরবর্তী স্থানে পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় পানি বৃদ্ধির সাথে তীব্র স্রোত তৈরি হয়। ফলে গত ১০-১৫ দিন ধরে উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর থেকে শিবালয় উপজেলা শুরুর প্রান্ত পর্যন্ত মালুচী ঘাট এলাকায় তীব্র স্রোত ও ঢেউয়ের আঘাতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড সদস্য তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কুশিয়ারচর এলাকার ফৈজদ্দীনের বাড়ি, বেলায়েত মেম্বার, নুরুল, বনি, রাকিব, বারেক গাজী, আঈয়ুব খাঁ, গেন্দু বেপারি, বিশু বেপারি, লালন, জিয়াউর মেম্বারের বাড়ি এবং মালুচি এলাকার শাহাজদ্দীন, লালমিয়া, আখিজদ্দিন ও ফুলুর বাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া না হলে বাড়িগুলো পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে।
কুশিয়ারচর গ্রামের বেলায়েত মেম্বার বলেন, আমাদের বাড়িটি ১২০ শতাংশ জামির ওপর ছিল। ৭০-৮০ শতাংশ ভেঙে গেছে। বাড়ির সামনে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন বন্ধের চেষ্টা করা হয়ের্ছিল। কিন্তু সম্পতি নদীর তীব্র ¯্রােতে সেগুলো ভেসে গেছে। দ্রুত সময়ে মধ্যে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের বাড়িটি আর রক্ষা করা যাবে না।
কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী বনি ইসলাম রূপক বলেন, গত দুই-তিন বছরে কোর্টকান্দি, মুহম্মদপুর ও বৌদ্ধকান্দির শত শত বিঘা জমি ও বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। এখনো ৫০০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ পড়েনি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও কে জানানো হয়েছে। ইউএনও মহোদয়ও জানেন।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, ভাঙনরোধে হরিরামপুরের চরাঞ্চলে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। কুশিয়ারচর ও মালুচি এলাকায়ও দ্রুত সময়ের মধ্যে জিও ব্যাগ ফেলা হবে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement