০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ২ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

চাকরির প্রলোভনে ভাগ্নের স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

-

গাজীপুরের কালীগঞ্জে চাকরি দেয়ার কথা বলে ভাগ্নের স্ত্রীকে শালবনে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করেছে মজিদ মিয়া নামে এক পাষণ্ড। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তি। গত শুক্রবার কালীগঞ্জ থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান ওই থানার ওসি আলাউদ্দিন।
নিহত ফাতেমা খাতুন শায়লা (২৩) পাবনার ফরিদপুর থানার আগপুঙ্গুলী গ্রামের এবাদ আলীর মেয়ে এবং একই গ্রামের রুবেল খন্দকারের স্ত্রী। গ্রেফতারকৃত মজিদ মিয়া (৪২) পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আছিম উদ্দিন শেখের ছেলে। মজিদ মিয়া গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বোর্ডমিল এলাকায় বসবাস করতেন।
সূত্র জানায়, গত ২ জুলাই কালিয়াকৈর থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার আট দিন পর কালীগঞ্জ উপজেলার মিরেরটেক এলাকার এক শালবন থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ছবি, ওড়না ও জুতা দেখে স্বজনরা লাশটি শনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ১৪ জুলাই কালীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এর আগে স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে ৭ জুলাই কালিয়াকৈর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের খালুশ^শুর মজিদ মিয়াকে গত বৃহস্পতিবার ভোরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত মজিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। সে জবানবন্দীতে জানায় চাকরির প্রলোভনে শায়লাকে কৌশলে ওই জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার ভয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শায়লাকে শ^াসরোধে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে রেখে পালিয়ে যায় সে। গ্রেফতারকৃতের দেয়া তথ্য মতে নিখোঁজের তিন মাস পর ফাতেমার হত্যার রহস্য উদঘাটন হলো। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার এসআই আনোয়ার হোসেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement