৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

মিরসরাইয়ে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন প্রকল্পে স্থবিরতা

পর্যটন আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু মহামায়া লেক : নয়া দিগন্ত -

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পাহাড়-সমুদ্র বেষ্টিত অপার সম্ভাবনাময় এ উপজেলার পর্যটন শিল্প। প্রাকৃতিক পাহাড়ি ঝরনা, লেক, সমুদ্রসৈকতসহ একাধিক পর্যটন স্পটের সৌন্দর্য উপভোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন শত শত ভ্রমণপিপাসু। তবে পর্যটকদের জন্য নিরাপত্তা ও থাকার ভালো ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় অনেককে। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হলে সরকার এ খাত থেকে প্রতি বছর কয়েক কোটি রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের মিরসরাই রেঞ্জের গোভানিয়া বিট এলাকায় অবস্থিত মহামায়া সেচ প্রকল্প ও বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং বড়তাকিয়া বিট এলাকার খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় বনবিভাগ আলাদা দু’টি প্রকল্প হাতে নেয়। ২০১৭ সালে প্রস্তাবিত এ পকল্পে খৈয়াছড়া ঝরনায় ২৫ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প। আর মহামায়ায় ২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকার প্রকল্প। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এ দু’টি প্রকল্পের আমলাতান্ত্রিক জটে অগ্রগতি হয়নি।
খৈয়াছড়া ঝরনায় ২শ’ হেক্টর সাইকাস উদ্ভিদ বনায়ন, দুষ্প্রাপ্য বিপদাপন্ন দেশীয় প্রজাতির, ফলদ প্রজাতির, স্থানীয় প্রজাতি ও সৌন্দর্যবন্ধন বনায়ন ৬শ’ হেক্টর। এছাড়াও ৫টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ, ঝরনায় যাতায়াতের সুবিধার্থে আরসিসি সড়ক ও সিঁড়ি নির্মাণ ও ৫টি শৌচাগার নির্মাণসহ তিনটি গভীর নলকূপ, দুই কিলোমিটার এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন ও কেন্দ্রীয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন কাজ রয়েছে প্রকল্পজুড়ে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায় খৈয়াছরা ঝরনার রূপ লাবণ্য অবয়ব। গত কয়েক বছরে তিনজন পর্যটক ঝরনা থেকে পা ছিটকে নিচে পড়ে মারা যায়। ২০১৬ সালে দুই পর্যটক পাহাড়ের চূড়ায় আটকে গেলে পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা উদ্ধার করে। এছাড়া কয়েকজন পর্যটক ছিনতাইয়ের শিকার হন এবং শ্লীলতাহানির শিকার হন কয়েকজন নারী পর্যটক।
এদিকে ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর সেচ প্রকল্পের উদ্বোধনের পর থেকে পর্যটক আসা শুরু করে মহামায়া লেক এলাকায়।
চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগ বারৈয়াঢালা রেঞ্জের আওতাধীন ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের জন্য এ ঝরনাসহ ৫টি ঝরনার ইজারাপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শোমোশন লিমিটেডের কর্মকর্তা তন্ময় ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে আমাদের প্রতিষ্ঠান ভ্যাটসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকা দিয়ে বারৈয়াঢালা রেঞ্জের আওতাধীন ৫টি ঝরনা ইজারা নিয়েছে। কিন্তু ভয়াবহ বন্যায় অনেকদিন পর্যটক আসেনি।
চট্টগ্রাম উত্তর করেরহাটের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মোহাম্মদ হারুন অব রশীদ বলেন, উপজেলার অন্যান্য পর্যটন স্পটের চেয়ে ‘মহামায়া ইকোপার্কে দৃশ্যমান অনেক কাজ হয়েছে। আশা করছি আগামী বছরের মধ্যে সব কাজ শেষ করা যাবে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement