৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১, ২৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

আড়াইহাজারে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা

সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত অভিভাবকরা
-

আড়াইহাজারে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। প্রতিটি গ্রামে উদ্বেগজনক হারে মাদকের ব্যবসা বেড়েই চলেছে । যার ভয়াল থাবা থেকে নিষ্কৃতি পাচ্ছে না যুবসমাজ। এ অবস্থায় সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। পুলিশের অভিযানেও থেমে নেই মাদক বেচা-কেনা।
জানা গেছে, আড়াইহাজারে মেঘনা নদীর তীরবর্তী বিশনন্দী ফেরিঘাট হাওয়ায় এখানে নদীপথে মাদক আসে। ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজায় আসক্ত হয়ে পড়েছে শিশু-কিশোররা একসময় উপজেলার রামচন্দ্র ও ঋষিপাড়া পুলিশের অভিযানে টিকতে না পেরে মাদক ব্যবসা ছেড়ে পালিয়ে ছিল অনেক মাদক কারবারি। তবে অভিযান কমে যাওয়ায় আবারো বিক্রি শুরু করছে পুরোদমে।
সূত্রে জানা যায়, আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভা ও ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নে মাদক বেচা-কেনা হয় সবচেয়ে বেশি। নারান্দী গ্রামেও মাদকের আস্তানা গড়ে উঠেছে। দূরদুরান্ত থেকে মাদকসেবীরা এসে মাদক সংগ্রহ করে। এ ছাড়া উপজেলার রামচন্দ্রদী, ঋষিপাড়া ও গোপালদী মেথর পট্টি, মানিকপুর, লাসরদী, দাসপাড়া, মনোহরদী, চামুরকান্দি, লাখপুরা, দাইরাদি, টোকসাদি, টেটিয়া, খাগকান্দা, ফতেপুর, দয়াকান্দা, চৈতনকান্দা, লালুরকান্দী, জালাকান্দি, প্রভাকরদী, ইদবারদী, গাজীপুরা, তিলচন্ডী, নারান্দি, ইলমদি, জাঙ্গালিয়া, নয়নাবাদ, উচিতপুরা, মাহমুদপুর, শ্রীনিবাসদী, কাঠালিয়া, ঝাউগড়া, দিঘীরপাড়, মুকুন্দী, বাঘানগর, দক্ষিণপাড়া, বগাদি, শিবপুর, মাদকের জমজমাট আসর বসে।

প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও সেবন এলাকার যুবসমাজ ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। নারী-পুরুষ মিলে এসব এলাকায় মাদকের কেনাবেচা চলছে পুরোদমে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতাদের উৎপাত বেড়ে যায়। অভিনব কৌশলে বিভিন্ন পথে এসব এলাকায় আসছে মাদকদ্রব্য। আর এগুলো বিস্তারে অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের ভূমিকা সক্রিয়। পুলিশ এসব এলাকায় বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করলেও অদৃশ্য শক্তির ইশারায় অথবা টাকার বিনিময়ে তারা বের হয়ে এসে আবার এ ব্যবসা শুরু করে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আড়াইহাজারে দেড় শতাধিক স্পটে মাদকের পাইকারি কারবার চলছে। সন্ধ্যার পর থেকেই মাদক বিক্রেতারা ছড়িয়ে পড়ে উপজেলার ৩১৬ টি গ্রামে। এসব গ্রামের তরুণ ও যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
সচেতন নাগরিকদের মতে, শুধু চিহ্নিত কিছু স্পটে অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার করলেই মাদকের আগ্রাসন থামানো মুশকিল। কেননা বিক্রেতারা ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে লোকেশন বলে দিলে মাদক হোম ডেলিভারি দেয়।
আড়াইহাজারে মাদকের বিস্তারের কথা অস্বীকার করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বলেন, পুলিশ নিয়মিত মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে। মাদকব্যবসা অনেকটা কমে গেছে। বেশ কিছু চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার হয়ে জেল খাটছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement