২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

অতি বৃষ্টিতে ডুমুরিয়ার অর্ধশতাধিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

-

সাম্প্রতিক অতিবর্ষণে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বেশ-কয়েকটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পানিবন্দি হয়ে পড়ায় পাঠদান কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া আরো অর্ধশতাধিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি একবারে কমে গেছে।
ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী ও স্থনীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার ২১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাধবকাঠি, সিংগা, ঘোষড়া, জালিয়াখালী, চাঁদগড়, কুড়েঘাটা, কেবি ও মুজাঘুটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেশ কিছু দিন ধরে ছাত্রছাত্রী না আসতে পারায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া আরো ২০টিরও বেশি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি খুবই কম হচ্ছে। অপর দিকে উপজেলায় ৬৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে আটলিয়া ইউনিয়নের এ কে বি কে মাধ্যমিক ও রংপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর মুজারঘুটা বটবেড়া বারানসী বসুরাবাদ সাড়াভিটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে কয়েক ফুট পানি জমে থাকায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ। এ ছাড়া এলাকার রাস্তা-বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে থাকায় আরো ৩০টিরও বেশি বিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই স্কুলে আসতে পারছে না।

এ কে বি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী তিথি মণ্ডল স্কুলে আসার রাস্তায় পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে বলেন, এই জলের মধ্যে আমরা কিভাবে স্কুলে যাব? স্কুলে যাওয়ার সময় জামা-কাপড় ভিজে থাকে, আর যেয়ে দেখি ক্লাসেও পানি। সারাদিন ভিজা কাপড়েই থাকতে হয়। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক দিপক সরকার বলেন, আমাদের বিদ্যালয় সংলগ্ন আধারমানিক, বৈঠাহারা, বয়ারসিং, খলশীবুনিয়া, মঠবুনিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে রয়েছে। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষেও পানি জমে আছে। তাই গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী আনা-নেয়ার জন্য একটা নৌকা কিনেছি। প্রতিদিন ওই নৌকায় করে ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী আসে। আমরা তাদের পাঠদানের চেষ্টা করছি। কৃষ্ণনগর মুজারঘুটা বটবেড়া বারানসী বসুরাবাদ সাড়াভিটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী পিয়াল হালদার বলে, স্কুলের মাঠ তলিয়ে নিচতলায় পানি উঠে গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেবাশিষ বিশ্বাস বলেন, পানির কারণে আমাদের দু’টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম থমকে পড়েছে। তা ছাড়া গ্রামের রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আসতে পারছে না। উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, সাম্পতিক বর্ষায় শিশুরাই বেশি সমস্যায় পড়েছে। ছয়-সাতটি স্কুলে শিশুরা আসছেই না। তাছাড়া আরো ২০টিরও বেশি বিদ্যালয়ে উপস্থিতি খুবই কমে গেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement