০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

অ্যান্টার্কটিকা সফর করছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

অ্যান্টার্কটিকা সফর করছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী - ছবি : সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডার্ন অ্যান্টার্কটিকায় তার দেশের স্কট গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ৬৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে অ্যান্টার্কটিকায় রয়েছেন। এটি একজন বিশ্বনেতার বিরল সফর।

এই সপ্তাহের শুরুতে গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছানোর প্রাথমিক প্রচেষ্টা চলাকালীন খারাপ আবহাওয়া তার বিমানটিকে ফিরে যেতে বাধ্য করে এবং তার পরিকল্পনার এক দিন পর অর্থাৎ বুধবার আরডার্ন অ্যান্টার্কটিকায় পৌঁছান।

পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রে রেকর্ড করা একটি ভিডিও বার্তায় আরডার্ন বলেন হিমায়িত মহাদেশে নিউজিল্যান্ড তার উপস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে রয়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রেটির ৬৫ বছর হয়ে গেছে এবং সেখানে কাজ করা বিজ্ঞানীদের ভূমিকা অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং নিউজিল্যান্ড সরকার এটিকে পুনঃবিকাশ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অ্যান্টার্কটিকার আশপাশের পানিতে প্রকৃতি ও প্রাণীর রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা বিবেচনা করার উদ্দেশে দুই সপ্তাহের বার্ষিক বৈঠকের জন্য অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে ২৭ জন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী এবং কূটনীতিকরা মিলিত হওয়ার সময় অ্যান্টার্কটিকায় তার ৭২ ঘণ্টার এই সফর হয়।

কমিশন ফর কনজারভেশন অফ অ্যান্টার্কটিক মেরিন লিভিং রিসোর্সেস (সিসিএএমএলআর) ২৬টি সদস্য রাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এবং তারা ২০১৯ সালের পর এই প্রথম সরসরি বৈঠকে বসেছে। এই গোষ্ঠীতে চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং সেইসাথে ইউক্রেনের প্রতিনিধিও রয়েছে।

পরিবেশ বিজ্ঞানী এবং সংরক্ষণবাদীরা কমিশনকে অ্যান্টার্কটিকার দক্ষিণ মহাসাগরে মাছ ধরার উপর আরো প্রতিরক্ষামূলক সীমাবদ্ধতা আরোপ করার আহ্বান জানাচ্ছেন, তবে রাশিয়া, চীন এবং পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে যে প্রতিনিধিদের ঐকমত্যে পৌঁছানো আরো কঠিন করে তুলতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement