২০২০ এর পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মন্ত্রীদের বৈঠক
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ জুন ২০২২, ১০:২৭
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেস, গত সপ্তাহান্তে সিঙ্গাপুরের শাংগ্রি লা নিরাপত্তা সম্মেলনে পার্শ্ব বৈঠকে, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেংগে-র সাথে সাক্ষাৎ করেন। যুগান্তকারী বৈঠকটির পর, সাবেক এক গোয়েন্দা প্রধান জানিয়েছেন যে, চীনের সাথে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে অস্ট্রেলিয়ার ‘লম্বা পথ পাড়ি দেয়া বাকি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রোববার সিঙ্গাপুরে অস্ট্রেলিয়া ও চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠকটি উষ্ণতর কূটনৈতিক সম্পর্কের সূচনা করতে পারে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের এতটাই অবনতি হয় যে, দুই বছরেরও বেশি আগে ইন্দো-প্যাসিফিকের এই দুই দেশের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপ ও সাইবার-গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ করা হয়েছিল। চীনে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের আটক করাও দ্বন্দ্বের একটি কারণ ছিল। অপরদিকে, জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরে অস্ট্রেলিয়ার ফাইভ-জি টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় চীনের হুয়াওয়ে কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তটিও দ্বন্দ্বের আরেকটি কারণ।
এরপর, মহামারী নিয়েও দ্বন্দ্ব আরম্ভ হয়। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছিলেন যে, প্রথম চীনে শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ এর সূত্রপাতের বিষয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিৎ। এর ফলে বেইজিং ক্ষিপ্ত হয়। তারা এমন আহ্বানকে চীনের ভাইরাস সামাল দেয়ার পদক্ষেপের সরাসরি সমালোচনা হিসেবে বিবেচনা করেছিল। এরপরই, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন রফতানির উপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সেগুলোর মধ্যে কৃষি পণ্য, ওয়াইন এবং কয়লা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স অর্গানাইজেশন-এর সাবেক মহাপরিচালক, ডেনিস রিচার্ডসন অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে বলেন যে সাম্প্রতিককালে নির্বাচিত অস্ট্রেলিয়ার মধ্যবামপন্থী সরকার অনেক বছরের বৈরিতার পর চীনের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা