১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

উত্তর কোরিয়া ও চীনের সম্পর্কে ফাটলের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা

- ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

কয়েক বছরের মধ্যে প্রথমবার চলতি সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা প্রকাশ্যে এসেছে। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বেইজিং এক যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করায় পিয়ংইয়ং তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহ উৎক্ষেপণে উত্তর কোরিয়ার সর্বসাম্প্রতিক প্রচেষ্টা চীনের এক বৃহৎ কূটনৈতিক উদ্যোগকে ব্যাহত করায় দুই মিত্র দেশের মধ্যে এই আপাত সঙ্ঘাতের সূত্রপাত।

উত্তর কোরিয়া যখন ঘোষণা করে, তারা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ পরিচালনা করবে তখন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং সোওলে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই বৈঠক ত্রিপাক্ষিক সংলাপের একটি অংশ। এই আলাপ-আলোচনা প্রায় পাঁচ বছরে একবারও হয়নি।

সোমবার বিকেলে ত্রিপক্ষিয় আলোচনা শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আগ্নেয় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উপগ্রহ আকাশে উৎক্ষিপ্ত হয়।

নজিরবিহীন না হলেও, চীনের সাথে সংশ্লিষ্ট বড় রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এ এক বিরল মতানৈক্যের প্রকাশ। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার প্রধান মিত্র ও অর্থনৈতিক জীবনদাতা চীন।

হাওয়াইয়ের ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টারের কোরিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ জাঁ লি-র বক্তব্য অনুযায়ী, এই ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে ‘ঠোঁট ও দাঁতের নৈকট্যের মতো’ যে সম্পর্কের কথা দু’পক্ষই জোর দিয়ে বলছিল তাতে ফাটল ধরেছে যা উভয়পক্ষই বহুদিন ধরে চেপে রেখেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা যা প্রত্যক্ষ করছি তা হলো, সামান্য একটু চাপ পড়লেই এই ফাটল বৃদ্ধি পেয়ে আরো বড় আকার ধারণ করতে পারে।’

উত্তর কোরিয়ার এই কর্মকাণ্ড চীনের লি-কে অস্বস্তি ও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলেছে। তিনি তখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়োলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। উভয়েই এই আসন্ন উৎক্ষেপণের নিন্দা করেন।

সরকার-পরিচালিত কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ অ্যাজেন্সি এক বিবৃতি প্রকাশ করে যেখানে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তিন দেশকে ‘উপহাস ও তামাশা’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। পাশাপাশি সে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি ‘স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ‘ ও তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘অহেতুক হস্তক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এই দেশগুলোকে নিন্দা করেছে পিয়ংইয়ং।

২০১৭ সাল থেকে এই অবধি উত্তর কোরিয়া চীনের এতটা নগ্ন সমালোচনা করেনি। সে বছরই বেইজিং উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেছিল।

তারপর থেকে উত্তর কোরিয়া ও চীনের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। নতুন একাধিক নিষেধাজ্ঞা বিরোধিতা করছে এখন চীন। এমনকি, জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবে নিষিদ্ধ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে নাটকীয়ভাবে সম্প্রসারিত করেছে উত্তর কোরিয়া। অথচ এই প্রস্তাবকে এক সময় সমর্থন করেছিল চীন।

তবে, আস্তরণের নিচে সমস্যার ইঙ্গিত ও লক্ষণ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, চীনের নেতা শি জিনপিং পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কিমের সাথে সাক্ষাৎ করেননি।

ইতোমধ্যে, সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সুদূর পূর্বপ্রান্তে সফর করেছিলেন কিম। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে সামরিক সহযোগিতা সম্প্রসারিত করতে সম্মত হন।

কিছু বিশ্লেষক বলছেন, রাশিয়া যদি তাদের সীমান্তে উল্লেখযোগ্য পারমাণবিক স্থাপনা নির্মাণ করে তাহলে চীনের তাতে অস্বস্তি হতে পারে। আর এতে সাম্প্রতিক উত্তেজনার কিছু ব্যাখ্যা পাওয়া যেতে পারে।

সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement
পুলিশকে আক্রমণ : তাহেরীসহ ১৫ জনের নামে মামলা, গ্রেফতার ৩ টানা জয়ে শীর্ষে রংপুর, প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে শান্তর ৮০ ইনসাফভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায় জামায়াত : রেজাউল করিম টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে চান সৌম্য ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকটে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে সমর্থন ইতালির আবাহনীকে হারিয়ে শীর্ষে মোহামেডান ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন : ডিএমপিতে ২ দিনে ১৭৯৯ মামলা কোরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি : নূরুল ইসলাম বুলবুল বিআরটি করিডোরে বিআরটিসির এসি বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে রোববার বাংলাদেশে বিজেপির হিন্দুত্ববাদের বিকাশ ঘটছে!

সকল