২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জান্তাবিরোধী যোদ্ধাদের হামলায় মিয়ানমারে ২০ সৈন্য নিহত

টহলরত মিয়ানমারের এক সৈনিক - ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের সামরিক জান্তাবিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) যোদ্ধাদের হামলায় অন্তত ২০ সৈন্য নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দেশটির বিভিন্ন স্থানে পিডিএফ যোদ্ধাদের হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

অপরদিকে সামরিক বাহিনীর অভিযোনে কয়েক ডজন বেসামরিক লোক নিহত হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় কারেন রাজ্যে স্থানীয় কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের যোদ্ধারা দুইটি সামরিক ক্যাম্প দখল করে নেয়।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গুনের সানচাউঙ্গ টাউনশিপে সামরিক এক যানে পিডিএফ যোদ্ধাদের হামলায় এক ডেপুটি ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ সামরিক বাহিনীর তিন সৈন্য নিহত হন।

এই ঘটনার পরপরই সানচাউঙ্গে রাস্তা বন্ধ করে দেয় সামরিক বাহিনী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, সৈন্যরা যত্রতত্র গুলি ও গালাগালি করছে।

শুক্রবার সকালে মাগউই অঞ্চলের গাঙ্গাও টাউনশিপের নান খার গ্রামে পিডিএফ যোদ্ধাদের সাথে সামরিক জান্তার সংঘর্ষ হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার পিডিএফ যোদ্ধাদের সাথে সংঘর্ষের পর গাঙ্গাও টাউনশিপের মিনথা গ্রামের ২০ বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করে সৈন্যরা।

এই সময় বাধা দিতে গিলে ওই গ্রামে ২২ কিশোরকে হত্যা করা হয় বলে জানান গ্রামের এক বাসিন্দা।

১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাতমাদাও দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। পরে ১ আগস্ট জরুরি অবস্থার মেয়াদ ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দেন জান্তা প্রধান জেনারেল মিন অং লাইং।

গত বছরের নভেম্বরে দেশটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী।

সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন। শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া অহিংস বিক্ষোভকে সামরিক উপায়ে জান্তা সরকার দমন করতে গেলে বিক্ষোভকারীরাও বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র হাতে নেয়।

গত ৭ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের জান্তাবিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট দেশের সাধারণ মানুষকে সামরিক জান্তার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দেয়।

এদিকে মিয়ানমারের অবস্থা পর্যব্ক্ষেণকারী থাইল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে বিক্ষোভে সামরিক জান্তার দমন অভিযানে অন্তত এক হাজার ৬২ জন নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিক্ষোভ সংশ্লিষ্টতায় সামরিক জান্তার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আট হাজার ১৩ জন। বর্তমানে বন্দী রয়েছেন ছয় হাজার তিন শ' ৬৪ জন। এছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে আরো এক হাজার নয় শ' ৮৪ জনের নামে।

সূত্র : ইরাবতি


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রেড-১ এ পদোন্নতি পেলেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি ডা. রেয়াজুল হক ‘বড় কোনো পরিকল্পনা না থাকলে এক দিনে এতগুলো ঘটনা ঘটতো না’ জুলুমের দায়ে মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনামকে পদত্যাগ করতে হবে : হেফাজত আমির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১,৮৯০ টাকা কমেছে খালেদা জিয়ার সাথে সৌদি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক মাওলানা আতাহার আলীকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস রচিত হতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা ‘মানবিক সমাজ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি’ ছাত্র সংঘর্ষ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের উদ্বেগ কোনো পত্রিকা বন্ধে চাপ প্রয়োগ সহ্য করা হবে না : তথ্য উপদেষ্টা সিলেটে ব্যবসায়ী হত্যায় বাবাসহ ২ ছেলের মৃত্যুদণ্ড ভারতে মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে নিহতের ঘটনায় জামায়াতের প্রতিবাদ

সকল