২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মার্কিন কূটনীতিকদের ওপর বেইজিংয়ের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা

এর আগে চীনা দূতাবাস কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন
- সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাসের কর্মীদের কার্যক্রম সীমিত করে ওয়াশিংটনের বিধিনিষেধ আরোপের জবাবে চীনে কর্মরত সব মার্কিন কূটনীতিকের ওপর পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে বেইজিং। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বেইজিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে চীনে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাস ও কনসুলেটের সব কর্তকর্তা তো বটেই, হংকংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কনসুলেট-জেনারেলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে।

কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত চীনা কূটনীতিকদের কার্যক্রম সীমিত করতে একঝাঁক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন নিয়মে চীনা কূটনীতিকরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন, দূতাবাসের বাইরে ৫০ জনের বেশি লোক নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান করতে চাইলে বা স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করতে গেলে আগেই মার্কিন প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।

গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছিলেন, চীনে মার্কিন কূটনীতিকদের কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরেই নিয়ন্ত্রণ করার জবাবে এ ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হুমকি দিয়েছিল বেইজিং। এবার সেটি বাস্তবে পরিণত করতে চলেছে তারা।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, চীনের কূটনৈতিক কর্মকর্তাদের ওপর ওয়াশিংটনের কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের সম্পর্ক বিঘ্নিত করেছে। যত দ্রুত সম্ভব যুক্তরাষ্ট্রকে তার ভুল সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানাতে সম্প্রতি মার্কিন দূতাবাস এবং কনসুলেটগুলোর ওপর পারস্পরিক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে একটি কূটনৈতিক নোট পাঠিয়েছে চীন, এর মধ্যে হংকংয়ের কনসুলেট-জেনারেলও অন্তর্ভুুক্ত রয়েছে।

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, তাইওয়ান, তিব্বত, হংকং, মানবাধিকার লঙ্ঘন, করোনাভাইরাসের মতো ইস্যুগুলো নিয়ে চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ বহু দিনের। তবে আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে সেই বিরোধে নতুন গতি যোগ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। চীনের সাথে সম্পর্ক সীমিতকরণকে নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement