২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আফগানিস্তানে বন্দিবিনিময় চুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন চায় যুক্তরাষ্ট্র

- সংগৃহীত

মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি জালমে খলিলজাদ বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের মহামারী আকার ধারণ তালেবান বন্দীদের মুক্তির বিষয়টিকে জরুরি করে তুলেছে।’ তিনি গত বুধবার বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের আশরাফ গনির সরকার ও তালেবানের মধ্যে হওয়া বন্দিবিনিময় চুক্তি যত দ্রুত সম্ভব শুরু করা উচিত।’

টুইট বার্তায় খলিলজাদ বলেন, ‘এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটি প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত কোনো বন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়নি’। খলিলজাদের এমন মন্তব্যই বলে দিচ্ছে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান পররাষ্ট্রনীতিগুলোর অন্যতম এটিকে কতটা প্রভাবিত করেছে।

প্রায় দুই দশকের সঙ্ঘাতের পর যুক্তরাষ্ট্র তার দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনার মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে এই বন্দিমুক্তি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে কতসংখ্যক বন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে সে বিষয়ে এবং মুক্তিপ্রাপ্তরা আবার যুদ্ধে ফিরতে পারবেন না, এসব বিষয়ে মতবিরোধের কারণে বন্দীদের মুক্তির প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।

খলিলজাদ বলেছেন, ‘মার্কিন-তালেবান চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে যত দ্রুত সম্ভব বন্দীদের মুক্তি শুরু দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।’ তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস বন্দীদের মুক্তির বিষয়টিকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছে, এটি সময়ের দাবি।’ ‘যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে বুঝতে পেরেছে যে, তারা বন্দীদের মুক্ত করার জন্য একসাথে কাজ করতে এবং প্রায়োগিক পদক্ষেপের বিষয়ে মনোনিবেশ করতে পারে’, যোগ করেন খলিলজাদ।

‘যদিও সামনাসামনি বৈঠক করতে পারলে ভালো হতো, তবে করোনাভাইরাস এবং ফলস্বরূপ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার জন্য এখন সম্ভবত প্রযুক্তিগত যোগাযোগ প্রয়োজন।’ তিনি উভয় পক্ষকে উসকানিমূলক মিডিয়া বিবৃতি এড়িয়ে চলতে অনুরোধ করেছেন।

মার্কিন-তালিবান চুক্তি কাবুলকে ১০ মার্চের মধ্যে পাঁচ হাজার তালেবান বন্দী মুক্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, মুক্তির পাশাপাশি আফগান সরকারের সাথে তালেবানের আলোচনাও চলতে থাকবে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে আফগান সরকারকে ওই শান্তিচুক্তিতে রাখা হয়নি। প্রেসিডেন্ট গনি যুক্তরাষ্ট্রের সই করা চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ হাজার বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হননি। পরে তালেবানের সাথে শান্তি আলোচনায় পৌঁছতে সমঝোতার অংশ হিসেবে এক হাজার ৫০০ তালেবান বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হন তিনি। প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে একটি ডিক্রি জারি করেন। ডিক্রি অনুযায়ী এসব বন্দীকে ‘যুদ্ধের ময়দানে না ফেরার লিখিত প্রতিশ্রুতি’ দিতে হবে। এর বিনিময়ে তালেবানরা এক হাজার সরকারি সেনাকে হস্তান্তর করতে সম্মত হয়েছে।

তালেবান জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের সাথে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী গনিকে কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই পাঁচ হাজার বন্দীকে মুক্তি দিতে হবে। খলিলজাদ টুইটে বলেছেন, ‘তালেবানরা বলেছে- মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীরা শান্তিচুক্তিতে করা প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে এবং যুদ্ধের ময়দানে ফিরে যাবে না।’ ‘চুক্তির যেকোনো লঙ্ঘন শান্তি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে’। সূত্র : ডন


আরো সংবাদ



premium cement
‘দিনে দাওয়াতি কাজ করতে হবে আর রাতে আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে’ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রাণি ও পরিবেশের জন্য বড় হুমকি নতুন পর্যটন গন্তব্যের সন্ধান করছে সরকার : হাসান আরিফ বানারীপাড়ায় হত্যা ও প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার ২ রাবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম ‘ট্রাম্পের সাথে অভিন্ন ক্ষেত্র খুঁজে পাবেন অধ্যাপক ইউনূস’ তাজিকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ ছাত্র-জনতা বুকের রক্ত দিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে : মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি ফেরতের দাবি জানালেন আলাল টানা দুই ওভারে ২ উইকেট শিকার তাসকিনের ‘প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন’

সকল