২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

১২০০ বছরের পুরনো যে লেখা নিয়ে চীনে ক্ষোভ

‘রিকুইয়াম টু মাই নেফিউ’ নামে ক্যালিগ্রাফিটি এঁকেছিলেন ইয়ান ঝেনকিং - সংগৃহীত

তাইওয়ানের ন্যাশনাল প্যালেস মিউজিয়াম একটি বিরল ক্যালিগ্রাফি জাপানের টোকিওর ন্যাশনাল মিউজিয়ামে ধার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতেই ভীষণ আক্রোশ তৈরি হয়েছে চীনে।

নথিপত্র অনুযায়ী এটা দেখে মনে হচ্ছে এটা সরাসরি সংস্কৃতির আদান-প্রদান। 'রিকুইয়াম টু মাই নেফিউ' নামে ক্যালিগ্রাফিটি এঁকেছিলেন ইয়ান ঝেনকিং নামে একজন। এই ইয়ান ঝেনকিংকে চীনের একজন মহান ক্যালিগ্রাফার বলে মনে করা হয়।

ইয়ান ঝেনকিং বেঁচে ছিলেন ৭০৯ থেকে ৭৮৫ সালের মধ্যেকার সময়ে। ভাইয়ের ছেলে মারা যাওয়ার পর ইয়ান ঝেনকিং লিখেছিলেন এই ক্যালিগ্রাফি।

চাইনিজ ইউনিভার্সিটি অব হংকংয়ের একজন অধ্যাপক টং কাম টাং বিবিসি কে ইয়ান ঝেনকিং সম্পর্কে বলেছেন,‘তিনি চীনের খুব সুপরিচিত একটা নাম। যখন একজন অল্প বয়সে চীনের শিল্প সম্পর্কে পড়াশোনা করে তখনই সে তাঁর (ইয়ান ঝেনকিং) সম্পর্কে জানতে পারে।’

মি. টং বলেন এই মাস্টারপিসটি ইয়ান ঝেনকিং একটা খসড়া আকারে করেন। এই শিল্পকর্মটি কয়েকশ বছর ধরে চীন সংরক্ষণ করে রেখেছিল। ১৯৪০ সালে তাইওয়ান অন্যান্য শিল্পকর্মের সাথে এটিও নিয়ে যায়।

সেই থেকে তাইওয়ানের ন্যাশনাল প্যালেস মিউজিয়াম অত্যন্ত নিরাপত্তার সাথে এটা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। তবে এটা দ্বিতীয়বারের মত বিদেশে নেয়া হয়েছে।

এটি প্রথমবার ১৯৯৭ সালে ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল গ্যালারি অব আর্টে নেয়া হয়। তারপর থেকেই এটা তাইওয়ানে রয়েছে। এখন এই ক্যালিগ্রাফিটি টোকিওর এক শিল্প প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে।

এদিকে এই খবরে চীনের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ওয়েবো’তে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার পর্যন্ত ওয়েবো’তে ‘Requiem to My Nephew’ ২৬০ মিলিয়নের বেশি বার পড়া হয়েছে। অনেকেই জাপান এবং চীনের যুদ্ধের সময়কার ইতিহাস, সেই সাথে জাপান কীভাবে চীনের অংশ দখল করেছিল সে প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। যেটা চীনের জন্য এখনো অনেক সংবেদনশীল বিষয় হিসেবে দেখেন অনেকে।

একজন লিখেছেন,‘তাইওয়ান কি ভুলে গেছে জাপান আমাদের সাথে কি করেছিল? তারা কি জানে নানজিঙ গণহত্যা কি?’

১৯৩৭ সালে জাপানের সৈন্যরা চীনের পূর্বের শহরে হামলা করে। চীন বলেছে, এ সময় তিন লাখের মত মানুষ গণহত্যার শিকার হয়। আবার জাপান পুরো বিষয়টা অস্বীকার করে, তাদের দাবি কোনো হত্যাকাণ্ডই ঘটেনি।

ক্ষোভের পেছনে রাজনৈতিক কারণ?

এটা পরিষ্কার যে বেশিরভাগ মানুষ রাগ প্রকাশ করেছেন তাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ইয়ান চং বলেন,‘১৯৩০ থেকে ৪০ দশকের সময়ে চীনের বিভিন্ন অংশে জাপান যে ধরণের নৃশংস অভিযান চালায় সেটা এখনো প্রকটভাবে চীনের মানুষের মনে গেঁথে আছে। চীন ক্রমাগতভাবে সেই স্মৃতিকে টেনে নিয়ে আসছে।’

তাইওয়ানের নিজস্ব সরকারি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। ১৯৪৯ সাল থেকে তারা স্বাধীন দেশের মত কার্যকলাপ পরিচালনা করে থাকে।

যদিও চীন মনে করে এই দ্বীপটি চীনের একটি অংশ এবং একদিন তা চীনের সাথে একত্রিত হবে। এই মাসের শুরুতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাইওয়ানকে আহ্বান জানিয়েছিলেন- তাইওয়ান একদিন চীনের সাথে যে অবশ্যই একত্রিত হবে সেটা মেনে নিতে।


আরো সংবাদ



premium cement
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ আয়েশার দায়িত্ব নিলেন ইউএনও নয়া দিগন্তের মুক্তাগাছা সংবাদদাতা মুর্শেদ আলম লিটন আর নেই রাশিয়া রাতে ‘রেকর্ড’ সংখ্যক ড্রোন হামলা চালিয়েছে : ইউক্রেন আতঙ্ক নয়, পুলিশ হবে জনগণের ভরসা : জিএমপি কমিশনার হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : উপদেষ্টা রাজশাহীতে সাবেক এমপি রায়হান গ্রেফতার পাবনায় পানিতে ডুবে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু টেকনাফে বিজিবির অভিযানে আড়াই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার চট্টগ্রামে আইনজীবী কুপিয়ে হত্যা করল চিন্ময়ের সমর্থকরা তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চট্টগ্রামে ইসকন সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ

সকল