২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২০ শাবান ১৪৪৬
`

সাইবার অপরাধ : ১০ হাজার শ্রমিককে থাইল্যান্ড পাঠাচ্ছে মিয়ানমারের কারেন বিদ্রোহীরা

১০ হাজার শ্রমিককে থাইল্যান্ড পাঠাচ্ছে মিয়ানমারের কারেন বিদ্রোহীরা - ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারে বলপূর্বক সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়া ১০ হাজারের বেশি মানুষকে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির জাতিগত মিলিশিয়া কারেন বর্ডার গার্ড ফোর্সের (বিজিএফ) মুখপাত্র মেজর নাইং মাউং জো এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

মিয়ানমারের থাই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ব্যাপকভাবে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতারণা কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন দেশ থেকে পাচার করে আনা কর্মীদের দিয়ে জোর করে নানা ধরনের অবৈধ কাজ করানো হয়। সাইবারজগত ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রগুলো।

পাকিস্তানভিত্তিক ডনের খবরে বলা হয়, থাই সীমান্তে গড়ে ওঠা ওই অবৈধ ভবনগুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রতারকদের হাতে জিম্মি এসব মানুষকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বিজিএফ। এখন তাদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

বিজিএফ মুখপাত্র জো বলেন, ‘আমাদের ভুখণ্ড থেকে সব প্রতারককে বিতাড়িত করার ঘোষণা দিয়েছি। এখন সেটি বাস্তবায়নে কাজ করছি।’

একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় ১০ হাজার মানুষকে ধীরে ধীরে থাইল্যান্ডে স্থানান্তর করা হবে।’

তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিদিন ৫০০ জন করে শ্রমিককে স্থানান্তর করা হবে বলে জানান তিনি। এরইমধ্যে ৬১ জনকে থাই সীমান্ত পার করে দেয়া হয়েছে।

থাইল্যান্ডের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটির তাক প্রদেশে সীমান্ত নিরাপত্তায় নিয়োজিত একটি সামরিক টাস্কফোর্স মিয়ানমারের বিজিএফের সাথে সমন্বয় করে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিককে গ্রহণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

শুক্রবার মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় মেয়াওদি শহরতলিতে গড়ে ওঠা ‘শাও কোক্কো’ নামের একটি ভবনে টহল দিতে দেখা গেছে বিজিএফ সেনাদের। কারেন রাজ্যের সাইবার অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয় এই ভবনটিকে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement