১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

কে হবে মিয়ানমারের আগামীর নীতিনির্ধারক

- ছবি : ইরাবতী

মিয়ানমারে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের মাধ্যমে শুরু হওয়া বিপ্লব চার বছরে পূর্ণাঙ্গ সশস্ত্র সংগ্রামে রূপ নিয়েছে। তখন থেকে মিয়ানমারের সঙ্ঘাতের দৃশ্যপট নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। অভ্যুত্থানকারীদের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল (এসএসি) বিভিন্ন জাতিগত গোষ্ঠী এবং প্রতিরোধ বাহিনীর কাছে অঞ্চল হারাচ্ছে।

মিয়ানমারের বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) সম্প্রতি একটি সামরিক প্রতিবেদনে দাবি করেছে যে তাদের পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফস) এবং সহযোগী জাতিগত বিপ্লবী সংগঠনগুলো (ইআরও) ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দেশের অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে। এনইউজি বলে, দেশের ৪৪ শতাংশ শহরতলির ওপর ওই গোষ্ঠীগুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, যার ২৪ শতাংশ অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং প্রতিরোধ বাহিনীর দ্বারা প্রভাবিত। এর অর্থ হলো, দেশের এক-তৃতীয়াংশেরও কম এসএসির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সত্যি কথা বলতে, এনইউজির বর্ণিত বেশিরভাগ অঞ্চলই ইআরওদের হাতে। যদিও ইআরও উল্লেখযোগ্যভাবে স্থান পেয়েছে, তবুও অনেকেই তাদের জাতিগত কারণগুলোর উপর মনোযোগ দিচ্ছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক ধরনের স্বায়ত্তশাসন অর্জন করা। তবে কিছু বড় প্রশ্ন রয়েই যায়। নবগঠিত প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর ওপর তাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং মিয়ানমারের বিশাল অংশ থেকে তারা যে সম্মান অর্জন করেছে, তাতে কি তারা কেন্দ্রীয় সরকার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে? তারা কি ঐতিহ্যগতভাবে সংকীর্ণ জাতিকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে যেতে পারবে? জাতিগত সশস্ত্র খেলোয়াড়রা কি নির্ধারক ভূমিকা পালন করতে চায়? ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক মিয়ানমারের ক্ষমতার নেপথ্যের কারিগর হওয়ার সাহস কার আছে?

মিয়ানমারের অভ্যুত্থানের পর থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বামার (বার্মিজ) এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের মধ্যে সম্পর্ক বিকশিত হয়েছে। বামাররা সংখ্যালঘুদের অভিযোগগুলো বুঝতে শুরু করেছে। তাদের মধ্যে কিছুটা আস্থা তৈরি হয়েছে, যদিও এটি এখনো ভঙ্গুর। ‘ডু কাবা’ ও ‘ডু চোনের’ মতো জাতিগত সংখ্যালঘু শব্দগুলো এখন বামার অঞ্চলে সাধারণ, যা কাচিন-নেতৃত্বাধীন বাহিনী কেন্দ্রীয় অঞ্চলে পিডিএফস নিয়ন্ত্রণ করার সময় সহযোগিতার প্রতিফলন ঘটায়।

তবে অনেক জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এখনো বামারকে ভরসা করে না। তারা তাদের নিজস্ব কারণগুলোকে অগ্রাধিকার দেয় এবং আশা করে যে বামার তাদের অঞ্চলের জন্য স্বাধীনভাবে যুদ্ধ করবে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও বামারের সশস্ত্র শক্তি ও নেতৃত্বের অভাব রয়েছে। ফলে তারা সাহায্যের জন্য ইআরওর ওপর নির্ভর করে। সম্ভাব্য পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ বামার দ্বন্দ্ব অব্যাহত রাখা, কেন্দ্রীয় ক্ষমতার উপর ইআরওয়ের আধিপত্য অথবা জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভাগাভাগি করে শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে একটি সহযোগিতামূলক ভবিষ্যৎ।

মিয়ানমার উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের অভাব, অমীমাংসিত রাজনৈতিক সমস্যা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর চাপ পরিস্থিতিকে আরো প্রভাবিত করছে। এই বাধা সত্ত্বেও, শক্তিশালী জাতিগত বিপ্লবী সংগঠনের নেতারা জান্তাকে উৎখাত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তাদের কেউ মিয়ানমারের রাজা হতে এগিয়ে আসবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, ২০২৫ সাল শেষের আগেই এর উত্তর বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র : দ্য ইরাবতি


আরো সংবাদ



premium cement
বিপিএলের নতুন ধারণার প্রশংসা করেছেন ভক্তরা আধিপত্যবাদ উৎখাতেই সংহত হবে স্বাধীনতা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’সহ সংবিধানের মূলনীতি পরিবর্তনের সুপারিশ ‘অজ্ঞতানামা আসামি’ করার চর্চা বন্ধের প্রস্তাব পুলিশ সংস্কার কমিশনের শিল্প খাত বিকাশে পরিবেশ চাই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ব্যর্থ হলে কঠোর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন নেতানিয়াহু কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির রফিকুল আমীন নয়া দিগন্তে সংবাদ প্রকাশের পর নেসকোর ৩ কর্মকর্তাকে বদলি ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে ফের নির্বাচন, সুপারিশ কমিশনের ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানাশ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ স্ত্রী-সন্তানসহ শামীম ওসমান ও নানকের নামে দুদকের মামলা

সকল