আবারো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো উত্তর কোরিয়া
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২২
উত্তর কোরিয়া আবারো একাধিক স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রের দিকে একাধিক স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় আনুমানিক মঙ্গলবার সকাল ৯:৩০ মিনিটে (০০:৩০ জিএমটি) ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণগুলো শনাক্ত করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এটি উত্তর কোরিয়ার জাগাং প্রদেশ থেকে উৎক্ষেপিত হয়েছিল।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী আরো জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোরিয়ান উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী পানিসীমায় অবতরণ করার আগে ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল) পর্যন্ত ভ্রমণ করেছিল।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্তনি ব্লিঙ্কেন দক্ষিণ কোরিয়া সফরে থাকাকালীন উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।
এটি ছিল এ বছর পিয়ংইয়ংয়ের প্রথম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ। এর আগে নভেম্বরে দেশটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়।
পিয়ং ইয়ং জানায়, পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল সবচেয়ে উন্নত ও শক্তিশালী সলিড-ফুয়েল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম)।
উত্তর কোরিয়াও নভেম্বরের শেষ দিকে দক্ষিণে জিপিএস জ্যামিং অভিযান চালায়। অভিযানটিতে দেশের বেশ ক’টি জাহাজ ও কয়েক ডজন বেসামরিক বিমানকে প্রভাবিত করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল ৩ ডিসেম্বর একটি স্বল্পকালীন সামরিক আইন ঘোষণা করার পর দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়।
নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর হামলার পর থেকে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া তাদের সামরিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। এটি মার্কিন মিত্রদের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়।
গত জুন মাসে পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে স্বাক্ষরিত এক প্রতিরক্ষা চুক্তি গত মাসে কার্যকর হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চুক্তিটিকে একটি ‘যুগান্তকারী দলিল’ হিসেবে অভিহিত করে স্বাগত জানিয়েছেন।
চুক্তিটির আওতায় উভয় রাষ্ট্র মিত্র রাষ্ট্রটির ওপর আক্রমণ হলে ‘বিলম্ব না করে’ সামরিক সহায়তা প্রদান করতে ও পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় আন্তর্জাতিকভাবে সহযোগিতা করতে বাধ্য।
কিমের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জন্য উত্তর কোরিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়া জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে।
সূত্র : আল-জাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা