গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে জান্তার টেলিকম কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৩
মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে নজরদারি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য দেশটির সরকার পরিচালিত টেলিযোগাযোগ ব্যবসা মাইটেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ।
সোমবার বিভাগটির শিল্প ও নিরাপত্তা ব্যুরো টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমার কোম্পানি লিমিটেডের ওপর মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতির স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবতি শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
মার্কিন শিল্প ও নিরাপত্তা ব্যুরো জানায়, মাইটেল জান্তা সরকারকে নজরদারি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে সহযোগিতা করছিল। মাইটেলের মাধ্যমে জান্তা সরকার নিজেদের সৈন্যসহ অন্য ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোকে অনুসরণ ও শনাক্ত করতো।
জাস্টিস ফর মিয়ানমার নামের ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য প্রচারণা চালানো এক গুপ্তদল বলে, ২০২২ সালে জান্তা সরকারের নেতা মিন অং হ্লাইং মাইটেলকে তার কর্মকর্তাদের নাম, পদমর্যাদা ও সামরিক পরিচয় নম্বর দিয়েছিলেন।
মাইটেল ০৯৬৯ দিয়ে শুরু হওয়া সামরিক আইডি নম্বর দিয়ে ব্যক্তিগত সিম কার্ড বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। এর মাধ্যমে কমান্ডার তাদের সৈন্যদের ফোনের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে পারতো।
ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন ভিয়েটেল ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি ও মিয়ানমার ন্যাশনাল টেলিকম হোল্ডিংসের একটি যৌথ উদ্যোগ মাইটেল।
স্টার হাই কোম্পানির মাধ্যমে মাইটেলের ২৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক জান্তা সরকারের মিয়ানমার ইকোনমিক করপোরেশন।
মিন অং হ্লাইং ২০১৮ সালে কোম্পানির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মাইটেল কোম্পানি প্রাপ্ত লাভ দিয়ে শাসকগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা করে এবং টাওয়ার ও অন্যান্য অবকাঠামোর জন্য সামরিক জমি ব্যবহার করে।
বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকে মাইটেলের ওপর করা নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা ব্রিটিশ সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও একই কাজ করার আহ্বান জানায়।
বার্মা ক্যাম্পেইন ইউকের পরিচালক মার্ক ফারম্যানার বলেন, ‘বার্মিজ সামরিক ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের মুকুটে মাইটেল এক রত্ন। অনেক আগেই কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত ছিল।’
২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পরে যুক্তরাজ্য প্রাথমিকভাবে রাজস্ব, অস্ত্র ও সরঞ্জামের উৎসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে বিশ্বে নেতৃত্ব দিয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের গতি ধীর হয়ে গেছে। গত বছর মাত্র দু’টি নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
সূত্র : দ্য ইরাবতি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা