দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হলো পুলিশ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৪৫
সিওলে দক্ষিণ কোরিয়ার ইমপিচড বা অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে ছয় ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেও গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ ও তদন্তকারীরা। বিদ্রোহের অভিযোগের তদন্তের জন্য তাকে গ্রেফতার করতে তার বাসভবনে গিয়েছিল পুলিশ।
ইউন সুক ইওলকে গ্রেফতার করতে গেলে প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। প্রথমে তাদের প্রেসিডেন্টের বাসভবন চত্বরের মধ্যে নিযুক্ত সেনা ইউনিট বাধা দেয়। সেই বাধা পেরোবার পর তারা প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তারক্ষীদের বাধার মুখে পড়ে। বাইরে প্রেসিডেন্টের সমর্থকরাও তাদের বাধা দিয়েছিল।
ছয় ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করার পর তারা স্থানীয় সময় দেড়টা নাগাদ প্রেসিডেন্টের বাসভবন থেকে চলে আসে। পরে জানানো হয়, তদন্তকারী অফিসার ও অন্যদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাকে গ্রেফতার করা কার্যত অসম্ভব ছিল।
তদন্তকারীদের গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ইওলের আইনজীবী বলেছেন, আইন মেনে এই কাজ হচ্ছে না। তারা আবার আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
আইনজীবী ইউন কাপ-কেউন বলেছেন, ‘গ্রেফতারি পরোয়ানা যেভাবে কার্যকর করতে চাওয়া হয়েছে তা বেআইনি। এর বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’
আদালতের নির্দেশে গ্রেফতারি পরোয়ানা
গত মঙ্গলবার সৌলের আদালত এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। বারবার বলা সত্ত্বেও ইওল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারীদের মুখোমুখি হচ্ছিলেন না বা তার অফিসে তল্লাশিও চালাতে দিচ্ছিলেন না। তারপর এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
ইওল যে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় স্বল্পকালের জন্য সামরিক আইন জারি করেছিলেন, তা বিদ্রোহ কি না তা তদন্ত করে দেখছে তদন্তকারী দল।
গ্রেফতার করা হলে তিনিই হবেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট, যাকে এভাবে গ্রেফতার করা হলো।
ইওলের সমর্থকরা প্রতিবাদ করছে
তার সমর্থকরা বৃহস্পতিবার তার বাসভবনের সামনে চলে আসেন। তারা সারারাত সেখানেই ছিলেন। তারা স্লোগান দেন, ‘গ্রেফতারি পরোয়ানা অবৈধ।’
প্রেসিডেন্ট ইওল তার সমর্থকদের বলেন, ‘আমি শেষপর্যন্ত লড়াই করে যাব। এই দেশকে বাঁচানোর জন্য আমি আপনাদের সাথে আছি।’
প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তারক্ষীরা আগের মতোই তাকে সুরক্ষা দিচ্ছে। এর আগেও পুলিশের তার বাড়িতে তল্লাশি করতে চেয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের বাধায় তা সম্ভব হয়নি।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা