০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩০, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৫
`

কাজাখস্থানে বিমান বিধ্বস্ত : ক্ষমা চাইলেন পুতিন

কাজাখস্তানে আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্ত - সংগৃহীত

কাজাখস্তানে আজারবাইজানের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে ফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তিনি এটিকে ‘দুঃখজনক ঘটনা’ বলে অভিহিত করে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ক্রেমলিন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার আকাশসীমায় ঘটে যাওয়া এ মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। নিহতদের পরিবারের প্রতি তিনি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, এই ‘দুঃখজনক ঘটনাটি’ ঘটেছে যখন রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনের ড্রোন হামলা প্রতিহত করছিল।

এর আগে, আজারবাইজানের বিমানটি বুধবার চেচনিয়ার রুশ প্রজাতন্ত্রের আঞ্চলিক রাজধানী গ্রোজনিতে অবতরণের চেষ্টা করার সময় ইউক্রেনের ড্রোন হামলার মধ্যে পড়ে। তবে রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী বিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করেছে এমন কথা উল্লেখ করা থেকে তারা নিজেদের বিরত রাখে।

বিমানটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে গ্রোজনি যাওয়ার সময় কাজাখস্তানের দিকে মোড় নেয় এবং অবতরণের চেষ্টা করার সময় বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় ২৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কার্বি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কিছু প্রাথমিক সংকেত দেখেছে যা নিশ্চিতভাবেই রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কারণে বিমানটির বিধ্বস্ত হওয়ার সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত দেয়।’ তবে তদন্ত চলমান থাকার কারণে তিনি বিস্তারিত তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

আজারবাইজানের ডিজিটাল উন্নয়ন ও পরিবহনমন্ত্রী রাশান নাবিয়েভ বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক সিদ্ধান্তগুলো বাহ্যিক প্রভাবের দিকে ইঙ্গিত করে। ঘটনার সাক্ষীদের বক্তব্যেও তা প্রতিফলিত হয়েছে।’

দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী এবং বিমানকর্মীরা আজারবাইজানের গণমাধ্যমকে বলেন, তারা গ্রোজনির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বিমানটিতে বিকট শব্দ শুনতে পান।

শুক্রবার রাশিয়ার সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ রোসাভিয়াতসিয়ার প্রধান দমিত্রি ইয়াদ্রভ বলেন, যখন বিমানটি ঘন কুয়াশার মধ্যে গ্রোজনিতে অবতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ইউক্রেন শহরটিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালাচ্ছিল। এ কারণে কর্তৃপক্ষ এলাকাটিতে বিমান চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

ইয়াদ্রভ আরো বলেন, ক্যাপ্টেন দু’বার অবতরণের ব্যর্থ চেষ্টা করার পর তাকে অন্য বিমানবন্দরে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু তিনি কাস্পিয়ান সাগরের অপর পাশে কাজাখস্তানের আকতাউতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

দুর্ঘটনার পরের দিনগুলোতে আজারবাইজান এয়ারলাইন্স ‘বিমানের গঠন এবং প্রযুক্তিগত হস্তক্ষেপকে’ দায়ী করে এবং রাশিয়ার বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। তারা হস্তক্ষেপটি কোথা থেকে এসেছে এ বিষয়ে অন্য কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেনি।

সূত্র : বিবিসি ও ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement