২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তুরস্ক থেকে স্বদেশের পথে হাজারো সিরীয় শরণার্থী

- ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর প্রায় ৩১ হাজার সিরীয় নিজ দেশে ফিরে গেছেন।

শুক্রবার তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরীয় শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর প্রায় ৩১ হাজার সিরীয় নিজ দেশে ফিরে গেছেন।

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ৩০ লাখ শরণার্থী তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে আসাদ পতনের পর তুরস্ক এবং অন্যত্রে সিরিয়ার যেসব শরণার্থী রয়েছেন তাদের নিজ দেশে ফেরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

সিরিয়ার শরণার্থীরা এমন এক সময়ে তাদের দেশে ফিরছেন যখন তুরস্ক বলেছে, তারা সিরিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাপারে এবং সেখানকার জ্বালানি শক্তির অবকাঠামো বাড়ানোর দিকে নজর দিবে।

তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে শুক্রবার এ কথা জানানো হয়।

অন্য স্থান থেকেও সিরিয়ায় সাহায্য আসছে।

শুক্রবার জাতিসঙ্ঘের একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ইউরোপের অর্থায়নে প্রায় ৫০ টন চিকিৎসা সামগ্রী বিমানে করে তুরস্কে পাঠানো হয়েছে যেগুলো দুবাই হয়ে ৩১ ডিসেম্বর সিরিয়ায় পৌঁছাবে।

আসাদের শাসনের অধীনে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া সিরিয়ার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় সহযোগিতা প্রদান করা এখন অন্যতম লক্ষ্য।

শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, ইতোমধ্যেই সিরিয়ায় প্রথম দফায় ইউক্রেন খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, ৫০০ টন ময়দা সিরিয়ার উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক আব্বাস আরাঘচি সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে ‘ধ্বংসাত্মক হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।

বেইজিং সফরের সময়ে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি এ কথা লেখেন।

তিনি শুক্রবার প্রকাশিত পিপলস ডেইলি সংবাদপত্রে চীনা ভাষায় লেখেন, ইরান মনে করে সিরিয়ার জনগণের একমাত্র দায়িত্ব সিরিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং তা কোনো রকম ধ্বংসাত্মক হস্তক্ষেপ বা বিদেশের আরোপিত কোনো কিছু ছাড়াই।

চীন ও ইরান উভয় দেশই ক্ষমতাচ্যুত আসাদের সমর্থক ছিল।

সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement