পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৩
তালিবান নেতারা মঙ্গলবার প্রতিবেশী পাকিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সাথে একটি বৈঠকের আয়োজন করে। আর এর ফলে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে প্রায় এক দশক ধরে থমকে থাকা আলোচনা আবার শুরু হলো।
আফগান বিষয়ে পাকিস্তানের নতুন নিয়োজিত বিশেষ দূত মোহাম্মদ সাদিক কাবুলে অন্যান্যদের সহ তালিবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানির সাথে আলোচনায় তার টিমের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে মুত্তাকির দফতর বলে যে এই প্রতিনিধিদল দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও ট্রানজিট সম্পর্ক উন্নত করতে চায়। এই দু’টি দেশের মধ্যে প্রায় দুই হাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
তালিবানের প্রধান কূটনীতিক বলেন যে কাবুল, ইসলমাবাদের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক চায়।’
বিস্তারিত কিছু না বলে, মুত্তাকি বলেন, বাণিজ্যিক ও ট্রানজিট সম্পর্কের আরো উন্নয়নের জন্য উভয় সরকারকে, ‘পারস্পরিক সমন্বয় বাড়াতে হবে, সীমান্ত পারপারের জন্য ভ্রমণকারীদের সুবিধা প্রদান করতে হবে এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে যে বিষয়গুলো সম্পর্ককে টান টান করে রেখেছে সেগুলোর সমাধান করতে হবে।’
তালিবানের বিবৃতিতে পাকিস্তানি দূত সাদিককে উদ্ধৃত করে বলা হয় যে তার মিশন ছিল দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও ট্রানজিট সম্পর্ককে উন্নত করা।
পাকিস্তানি দূত তার সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্স’-এ লেখেন, ‘ব্যাপক আলোচনা করেছি। দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো জোরালো করতে এবং এই অঞ্চলের শান্তি ও প্রগতির জন্য একত্রে কাজ করতে সম্মত হয়েছি।’
তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বা টিটপির সন্ত্রাসী আক্রমণ বেড়েছে এবং হাজার হাজার পাকিস্তানি সামরিক ও বেসমরিক লোকজনকে হত্যা করেছে যার ফলে দুই দেশের সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটেছে।
হাক্কানির দফতর তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে যে তিনি পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমাদের দু’টি দেশের মধ্যে সম্পরের সুরক্ষার জন্য আমাদের যৌথ প্রচেষ্টাকে তরান্বিত করতে হবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করতে হবে।’
ওই বিবৃতিতে বলা হয় তিনি ‘নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো নিস্পত্তির জন্য যাতে দ্রুত যৌথ প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করা যা তার ওপর জোর দেন।
তালিবান নেতারা অবশ্য বার বার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন যে আফগান অঞ্চলকে আক্রমণের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা পাকিস্তানের সহিংসতাকে তাদের ‘অভ্যন্তরীণ সমস্যা’ বলেই অভিহিত করেন।
সূত্র : ভিওএ