২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

এবার ভারত ঘেঁষা মিয়ানমারের চিন রাজ্যের দখল আরাকান আর্মির

এবার ভারত ঘেঁষা মিয়ানমারের চিন রাজ্যের দখল আরাকান আর্মির - সংগৃহীত

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইনের পরে এবার ভারতের মণিপুর রাজ্য ঘেঁষা চিন রাজ্যের দখল নিলো মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এই অংশেই মিয়ানমারের কুকি জনগোষ্ঠীর বসবাস। ফলে নতুন করে সীমান্ত পেরিয়ে মণিপুরে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাবতী’ জানিয়েছে, চিন রাজ্যের ৮৫ শতাংশই বিদ্রোহী জোটের দখলে। সামরিক জান্তা সরকারের বাহিনীকে হটিয়ে থাইল্যান্ড এবং চিনের সীমান্তবর্তী এলাকার বড় অংশ কয়েক মাস আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল বিদ্রোহী জোট। চলতি মাসের শুরুর দিকে বৃহত্তম বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির নেতৃত্বে বিদ্রোহী জোট দখল করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্য। এবার মণিপুর সীমান্তও তাদের দখলে।

জান্তাবিরোধী নতুন জোট ‘চিন ব্রাদারহুড’-এর শরিক ‘ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স’, সাগাইন অঞ্চলে সক্রিয় ‘ইয়াও আর্মি’ এবং ‘মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ চিন রাজ্যের দখলের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে ‘দ্য ইরাবতী’র দাবি।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করেছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। শুরু হয়েছিল সামরিক জান্তার শাসন।

এর আড়াই বছরের মাথায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে দেশটির তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী- তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) নতুন জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন ১০২৭’।

পরে জান্তাবিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় চিন ন্যাশনাল আর্মি (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স (কেএলডিএফ) এবং সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট-এর সশস্ত্র বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট, জান্তাবিরোধী রাজনৈতিক দল শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি এবং তাদের সশস্ত্র শাখা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন জানায়। বিদ্রোহীদের মদতপুষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠী দ্য ইউনাইটেড ওয়া স্টেট পার্টি (ইউডব্লিউএসপি) ইতোমধ্যেই কয়েকটি ‘মুক্ত’ এলাকায় ‘সমান্তরাল’ সরকার চালানো শুরু করেছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
মারা গেছেন পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের মেজো ছেলে গাড়িকাণ্ড : তিন নেতার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিলো বিএনপি ‘অবহেলিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সবাই এগিয়ে আসতে হবে’ চুয়াডাঙ্গায় ১৪টি স্বর্ণের বারসহ ৩ চোরাকারবারি আটক ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে : জামায়াত আমির ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ নতুনভাবে গড়ার দায়িত্ব সবার : মির্জা ফখরুল ইসলামি বিপ্লব মানে ক্ষমতা দখল নয় : নুরুল ইসলাম বুলবুল বন্দী চুক্তিতে ‘নতুন বাধা’ তৈরি করছে হামাস, অভিযোগ ইসরাইলের সমাজের অগ্রগতিতে আলেমদের ভূমিকা রাখতে হবে : কুবি ভিসি টেপ মোড়ানো বস্তুতে লাথি মারতেই বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বাঁচল প্রাণ এস আলম আন্তর্জাতিক সালিশে গেলে কী হতে পারে

সকল