পাঁচ বছর পর সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনায় বসছে চীন-ভারত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:৫১
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে চীন ও ভারত। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেইজিংয়ে বিশেষ এই প্রতিনিধি (এসআর) সংলাপে অংশ নেবেন চীনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াং ইয়ে ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে এই বৈঠক হচ্ছে।
দোভাল ও ওয়াং বৈঠকে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন। পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহার ও বিতর্কিত এলাকাগুলোতে পুনর্বাসনের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি, স্থানীয় বাসিন্দাদের পশুপালন ও চারণ অধিকার নিয়ে সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টাও হতে পারে এই বৈঠকে।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ সমাধানের একটি রূপরেখা তৈরি হতে পারে। তবে, গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ থাকবে দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া বজায় রাখা ও পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গতিশীল করা।
এ বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকে সরকারি কোনো বক্তব্য না এলেও, বৈঠকের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হবে পূর্ব লাদাখে ইতিবাচক অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে উভয় পক্ষের সেনা সরানোর বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
সর্বশেষ, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শেষবারের মতো সীমান্ত সংক্রান্ত আলোচনা করেছিলেন দোভাল ও ওয়াং ইয়ে। এর পরে সব বৈঠক ছিল বহুপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে। তবে এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরাসরি নির্দেশনায় সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে অগ্রগতির চেষ্টা করবে দেশ দুটি।
গত অক্টোবরে ব্রিকস সম্মেলনে দোভাল ও ওয়াং পূর্ব লাদাখের ডেমচক ও দেপসাং বুলজ এলাকায় সেনা সরানোর বিষয়ে একমত হন। এর ফলে উভয় পক্ষ সীমান্তে আবারও নিয়মিত টহল শুরু করার সুযোগ পায়।
পূর্ব লাদাখে ২০২০ সালের মে মাসে সংঘাতের পর থেকে দুই দেশই কারাকোরাম পাস থেকে কিবুথু পর্যন্ত সেনা মোতায়েন করে রেখেছিল। তবে বর্তমানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস