৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মালয়েশিয়ায় বন্যায় ১২২,০০০ লোক বাস্তুচ্যুত

মালয়েশিয়ায় বন্যায় ১২২,০০০ লোক বাস্তুচ্যুত - ছবি : বাসস

মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে অবিরাম বর্ষণে সৃষ্ট ব্যাপক বন্যার কারণে এক লাখ ২২ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তারা শনিবার একথা জানিয়েছেন।

দেশের চলমান এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ২০১৪ সালের ভয়াঙ্কর বন্যা পরিস্থিতিকেও ছাড়িয়ে গেছে, ওই বছর বন্যায় এক লাখ ১৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় দুর্যোগ কর্মকর্তারা বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।

চলমান প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেলান্তান, তেরেঙ্গানু ও সারাওয়াক অঞ্চলে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্য অনুসারে, কেলান্তান রাজ্য বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যটির ৬৩ শতাংশ বা এক লাখ ২২ হাজার ৬৩১ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তেরেঙ্গানুতে প্রায় ৩৫ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আরো সাতটি রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুতির খবর পাওয়া গেছে।

চলতি সপ্তাহের প্রথমে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণের কারণে কেলান্তানের পাসির পুতেহ ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়। ওই শহরে লোকজনকে কোমর-পানিতে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।

পাসির পুতেহ স্থানীও বাসিন্দা ও স্কুলের দারোয়ান জামরাহ মজিদ (৫৯) এএফপিকে বলেন, ‘বুধবার থেকে আমার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমার এলাকায় পানি পৌঁছে গেছে। বন্যার পানি আমার বাড়ির করিডোর থেকে মাত্র দুই ইঞ্চি দূরে আছে। সৌভাগ্যক্রমে আমি আমার দু’টি গাড়ি পানির স্তর বৃদ্ধির আগেই একটি উঁচু ভূমিতে নিয়ে গিয়েছিলাম।’

তিনি তার নাতি-নাতনিদের বাড়ির সামনের পানিতে খেলতে দিয়েছেন। কারণ, সেখানে বন্যার পানি এখনো অগভীর রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু যদি পানি বেশি বেড়ে যায়, তবে এটি বিপজ্জনক হবে।’

জামরাহ বলেন, ‘আমি এখনো কোনো সহায়তা পাইনি।’

মোহাম্মদ জুলকারনাইন (২৭) বলেন, ‘আমার আশপাশে কোনো যানবাহনের প্রবেশ বা বাহির হওয়ার কোনো উপায় নেই।’

তিনি তার বাবা-মায়ের সাথে পাসির পুতেহতে বসবাস করছেন। বন্যার কারণে তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘অবশ্যই আমি ভয় পাচ্ছি। ভাগ্যক্রমে আমরা এনজিও থেকে কিছু সহায়তা পেয়েছি। তারা আমাদের বিস্কুট, ইনস্ট্যান্ট নুডুলস ও ডিমের মতো খাবার সরবরাহ করেছে।’

উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যগুলোতে উদ্ধারকারী নৌকা, চার চাকার গাড়ি ও হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি জাতীয় সংসদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি।

সূত্র : এএফপি/বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করুন : ইলিয়াস কাঞ্চন ইমরান খানের মুক্তির আন্দোলনে বুশরা বিবির রহস্যময় নেতৃত্ব গাজীপুরে দুই বাসে আগুন দিলো পোশাকশ্রমিকরা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন ফাওজুল হাসিনা দিল্লিতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন : জাতীয় নাগরিক কমিটি ডেঙ্গুতে আরো ৩ মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৭৫ চিরিরবন্দরে কিশোরীর আত্মহত্যা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে আবেদন চেয়েছে রংপুর জেলা প্রশাসন ‘শিক্ষানীতি শুধু সংস্কার নয় আলাদা কমিশন গঠন করতে হবে’ ইসকনের ব্যানারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পাঁয়তারা আওয়ামী দোসরদের : সাকি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড রানের জয়

সকল