১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লেবাননের যুদ্ধবিরতিতে সমর্থনের সিদ্ধান্ত ইরানের

- ছবি : ভয়েস অব আমেরিকা

ইসরাইলের সাথে যুদ্ধবিরতির যেকোনো সিদ্ধান্তে লেবাননকে সমর্থন দেবে ইরান। শুক্রবার ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।

ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর ওপর ইসরাইলের ব্যাপক হামলার মুখে তেহরানের পক্ষ থেকে এ সংঘাত থামানোর ইঙ্গিত দেয়া হলো।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার জ্যেষ্ট উপদেষ্টা আলী লারিজানি শুক্রবার বৈরুত সফর করেন এবং লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সাথে বৈঠক করেন।

তিনি বলেন, ইরান কোনো কিছুকে ব্যাহত করতে চায় না, বরং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তিনি হিজবুল্লাহকে একটি ‘জ্ঞানী আন্দোলন’ এবং লেবাননকে একটি জ্ঞানী জাতি হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘তবে তারা নিজেরাই জানে যে তাদের কী পদক্ষেপ নিতে হবে।’

এই ধরনের আলোচনা সত্ত্বেও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী লেবাননের রাজধানীতে ইভাকুয়েশন আদেশ জারি করার পরে ইসরাইল লেবাননে তার বিমান বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে, শুক্রবার বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির ভবনগুলোতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হচ্ছে এবং ভবনগুলো ধসে পড়ছে। দাহিয়েহ ও তাইয়ুনেহ এলাকাসহ অন্যান্য এলাকায় বড় ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে।

নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স থেকে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ বলেছে, বৈরুতের দাহিয়েহ সেকশনে বেসামরিক জনগণের মধ্যে লুকিয়ে থাকা হিজবুল্লাহদের ধ্বংস করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইসরাইলি গোয়েন্দাদের নির্দেশে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো শুক্রবার দুই দফা হামলা চালিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে হিজবুল্লাহর যুদ্ধাস্ত্রের গুদাম, সদর দফতর ও অন্যান্য সন্ত্রাসী অবকাঠামো।

বৃহস্পতিবার বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত লড়াইয়ে লেবাননের ৮৫০ কোটি ডলারের সরাসরি ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেবাননের আবাসন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় এক লাখ আবাসন ইউনিট আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে, যার পরিমাণ ২৮০ কোটি ডলার।

সূত্র : ভিওএ


আরো সংবাদ



premium cement