৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

রক্তাক্ত পালাবদল ঘটতে পারে মিয়ানমারে!

রক্তাক্ত পালাবদল ঘটতে পারে মিয়ানমারে! - ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে সরাসরি জানিয়ে দেয়া হলো জাতিসঙ্ঘ রিপোর্টে! জাতিসঙ্ঘ বিশেষ দূত জুলি বিশপ মিয়ানমারের পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের মানবাধিকার কমিটিকে যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, তাতে ক্ষমতার রক্তাক্ত পালাবদল ঘটার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। এই আবহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন এবং কানাডা সরকারের মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে।

রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘মিয়ানমারে অভূতপূর্ব মানবিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এ ক্ষেত্রে সমাধানের একটাই পথ- যুযুধান দু’পক্ষকে অনড় অবস্থান থেকে সরতে হবে।’ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ওই দেশটিতে অশান্তির আবহে সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির পাশাপাশি সংগঠিত অপরাধও বাড়ছে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। জুলির দাবি, গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে অস্ত্র উৎপাদন ও ব্যবসা, মানব পাচার, মাদক উৎপাদন ও পাচারের মতো অপরাধ প্রকাশ্যে ঘটে চলেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী- ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। পরবর্তী সময়ে জান্তা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)।

ইতিমধ্যেই মিয়ানমারের ৫০ শতাংশের বেশি অংশ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর একাংশ জানিয়েছে। বস্তুত, রাজধানী নেপিডো, প্রধান শহর ইয়াঙ্গন এবং আরো কিছু বড় জনপদ-শিল্পাঞ্চলেই এখন জান্তা সমর্থক সেনাবাহিনীর গতিবিধি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে খবর। বিদ্রোহীদের হামলার মুখে বহু সেনাসদস্যের আন্তসমর্পণ এবং প্রাণ বাঁচাতে ভারত ও বাংলাদেশে পালানোর ঘটনাও ঘটেছে।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জান্তা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’-এর সশস্ত্র বাহিনী পিডিএফ কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা রাখাইন প্রদেশের বেশ কয়েকটি সেনাঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিয়েছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
পাপনসহ ১১ পরিচালককে অপসারণ ছাদখোলা বাস দিয়েই সাফজয়ীদের বরণ করতে চায় বাফুফে সীমান্ত থেকে সম্পূর্ণ সেনাবাহিনী প্রত্যাহার ভারত-চীনের! দিওয়ালিতে মিষ্টি বিতরণ বিবর্তনের পথে পৃথিবী, আফ্রিকা ভেঙে যাবে দুভাগে, তৈরি হবে নতুন সমুদ্র ব্যবধান ১ শতাংশ! কমলা কি জয়ী হবেন? ব্যালট চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ট্রাম্পের দলের নেতা রক্তাক্ত পালাবদল ঘটতে পারে মিয়ানমারে! অমিত শাহের নির্দেশেই কানাডায় খালিস্তানপন্থীদের ওপর হামলা! গুরুতর অভিযোগ ট্রুডোর ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার হিজবুল্লাহর নতুন প্রধানের ৮ ঘণ্টার অল্টিমেটাম দিয়ে গভীর রাতে মহাসড়ক ছাড়লেন ববি শিক্ষার্থীরা সংস্কার অবশ্যই টেকসই হতে হবে : ভলকার তুর্ক

সকল