২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

ডুবে গেছে চীনা সাবমেরিন!

ডুবে গেছে চীনা সাবমেরিন! - ফাইল ছবি

ডুবে গেছে চীনের নতুন অত্যাধুনিক পরমাণু শক্তিসম্পন্ন সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণারয়ের এক কর্মকর্তা এই খবর ফাঁস করেছেন। রীতিমতো অস্বস্তিতে বেইজিং।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ নৌ-বাহিনীটি চীনের। ৩৭০টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে তাদের। একের পর এক অত্যাধুনিক পরমাণু শক্তিসম্পন্ন ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন তৈরি করে চলেছে তারা। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে থাকা খবর অনুযায়ী, চীনের কাছে ছয়টি পরমাণু ক্ষমতাসম্পন্ন ডুবোজাহাজ ও ৪৮টি ডিজেল-চালিত সাবমেরিন রয়েছে। পেন্টাগনের দাবি, ২০২৫ সালের মধ্যে ডুবাজাহাজের বহর বেড়ে ৬৫ হতে পারে, ২০৩৫-এ ৮০। কিন্তু এমন ক্ষমতা প্রদর্শনের মাঝেই মিলল বিপর্যয়ের খবর। নাম-পরিচয় গোপন রেখে এক আমেরিকান কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, প্রথম সারির ওই ডুবোজাহাজটি উহানের কাছে একটি নৌবন্দরে মে-জুন মাসের মাঝামাঝি কোনো সময়ে ডুবে গেছে। ‘ঝৌ-ক্লাস’ ডুবোজাহাজটি চীনের তৈরি প্রথম ওই প্রজাতির সাবমেরিন।

ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাদের দেয়ার মতো কোনো তথ্য নেই। তিনি বলেন, ‘যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, আমরা তেমন কোনো খবর জানি না। তাই কোনো তথ্যও দিতে পারব না।’

ডুবোজাহাজটি কী ভাবে ডুবে গেল, কেনই এমন দুর্ঘটনা ঘটল, তার কারণ এখনো অজানা। এ-ও জানা যায়নি, ডুবে যাওয়ার সময়ে সাবমেরিনটিতে পরমাণু-জ্বালানি ছিল কি না। যে আমেরিকান আধিকারিক খবরটি ফাঁস করেছেন, তিনি বলেন, ‘চীনা নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ, পরিকাঠামোর গুণমান ছাড়াও প্রশ্ন উঠছে, চীনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ (পিএলএ)-র অভ্যন্তরীণ গোলমাল ও চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টাকে কী ভাবে দেখছে সে নিয়ে। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে পিএলএ-তে।’ ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘চীন যে এই ঘটনার কথা স্বীকার করবে না, সেটাই স্বাভাবিক।’

সিঙ্গাপুরের এক চীনবিষয়ক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ জেমস চার বলেন, ‘এই দুর্ঘটনায় পিএলএ নৌবাহিনীর ফার্স্ট-ইন-ক্লাস পরমাণু শক্তিসম্পন্ন ডুবোজাহাজ কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের, এটি চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সর্বাধুনিক প্ল্যাটফর্ম।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement