কিশোরকণ্ঠ জাতীয় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে : বিচারপতি আবদুর রউফ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:০৪, আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:১৪
কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘৯ম কিশোরকণ্ঠ লেখক সম্মেলন ও সাহিত্য পুরস্কার-২০২২’ প্রদান সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে।
সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী, কবি আল মুজাহিদী, শিল্পী হামিদুল ইসলাম ও কবি বুলবুল সরওয়ারকে এ বছর কিশোরকণ্ঠ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
মাসিক নতুন কিশোরকণ্ঠের সম্পাদক কবি মোশাররফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও কিশোরকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও বিচারপতি মোহাম্মাদ আবদুর রউফ।
প্রধান আলোচক ছিলেন কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট লেখক রাশেদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিশুসাহিত্যিক মাহবুবুল হক, ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ, কবি আসাদ বিন হাফিজ, কবি ও কথাশিল্পী সোলায়মান আহসান, কবি আশরাফ আল দীন, ড. আহসান হাবীব ইমরোজ ও কবি জাকির আবু জাফর।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো অনেক প্রবীণ ও নবীন কবি সাহিত্যিক ছিলেন।
প্রধান অতিথি বিচারপতি মোহাম্মাদ আবদুর রউফ বলেন, আমি আজকে অত্যন্ত আনন্দিত। গুণীজনের পুরস্কৃত করার যে উদ্দীপনা নতুন প্রজন্মের মাঝে দেখা যাচ্ছে এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি আরো আনন্দিত এইজন্য যে, কিশোরকণ্ঠ সকল সময় জাতীয় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। জীবন সায়াহ্নে অনেক কিছু দেখেছি, শুনেছি ও অনেক কিছু অনুভব করেছি। আমি সকল সময় দেখেছি আল্লাহ পাক ভালো কাজে সহযোগিতা করেন। সুতরাং আমাদের উচিত ভালো কাজের দিকে এগিয়ে যাওয়া। কিশোরকণ্ঠ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক মুবারকবাদ জানাই। এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকুক, আল্লাহর কাছে কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের জন্য সেই দোয়াই করছি।
প্রধান আলোচক কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাফেজ রাশেদুল ইসলাম বলেন, কিশোরকণ্ঠ বর্তমানে চলছে অনেক সঙ্কটের মধ্যে। এছাড়া আরেকটি সঙ্কট হলো পাঠের সংকট। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে বইপত্র রয়েছে। অনূদিত কোরআন রয়েছে। রয়েছে সাহিত্যের অনান্য বই। কিন্তু যখন কোনো তরুণকে বই পড়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি, তখন খুবই হতাশ হচ্ছি। তবে কিশোরকণ্ঠ সব সময় তরুণদের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বইপত্র পাঠের ব্যাপারে কিশোরকণ্ঠ সব সময় কিশোরদেরকে উদ্বুদ্ধ করে থাকে। পাঠের যে ক্রান্তিকাল তা কাটিয়ে উঠতে কিশোরকণ্ঠ তার ভূমিকা অত্যন্ত সুন্দরভাবে অতীতে রেখেছে, ভবিষ্যতেও রাখবে ইনশাআল্লাহ।
কথাশিল্পী মাহবুবুল হক বলেন, আমাদের সুস্থ্য ধারার সাহিত্য গড়ে তুলতে হবে। বিশিষ্ট সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড.আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, কিশোরকণ্ঠ ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যন্ত চলছে। ইনশাআল্লাহ অনন্তের পথ ধরে কিশোরকণ্ঠের সুন্দরের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
কবি আসাদ বিন হাফিজ বলেন, পুরস্কার প্রদানের জন্য কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনকে অনেক ধন্যবাদ। কেননা তারা রাসূল সা:-এর একটি সুন্নাহকে চালু করেছেন।
কবি সোলায়মান আহসান বলেন, কিশোরকণ্ঠের এবারের নির্বাচন খুবই সুচিন্তিত হয়েছে। যে চারজনকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে তারা সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে খ্যাতিমান। ফলে কিশোরকণ্ঠের এই মনোনয়নের জন্য ধন্যবাদ দিতেই হয়। কবি আশরাফ আল দীন বলেন, কিশোরকণ্ঠ যে ধারা তৈরি করেছে তা সত্যিই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। ড. আহসান হাবিব ইমরোজ বলেন, আজ আমাদের নতুন প্রজন্মকে শুদ্ধ বাংলা শিখাতে হবে এবং এর চর্চা বাড়াতে হবে। এই কাজটি সুচারুভাবে চালিয়ে যাচ্ছে কিশোরকণ্ঠ। কবি জাকির আবু জাফর বলেন, কিশোরদের মনন গঠনের জন্য কিশোরকণ্ঠ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত চারগুণীজন তাদের পুরস্কারপ্রাপ্তির আনন্দ অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কবি মোশাররফ হোসেন খান বলেন, কিশোরকণ্ঠ সকল সময় কিশোরদের জন্য স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। কিশোরকণ্ঠের এই অভিযাত্রা ক্রমাগত চলছে এবং চলবে ইনশাআল্লাহ। কিশোরকণ্ঠের প্রবাহমান গতি অব্যাহত রাখার জন্য তিনি আল্লাহর সাহায্য ও সকলের দোয়া কামনা করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা