উপসম্পাদকীয়

স্ম র ণ : মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রব

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রব। জন্ম হবিগঞ্জে ১৯১৯ সালে। ’৭১ সালে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিবাহিনীর চিফ অব স্টাফ। সিলেট এমসি কলেজ থেকে বিএ এবং ভারতের আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন। এরপর তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতীয় সামরিকবাহিনীতে যোগ দেন । ১৯৪৪ সালে কমিশন লাভ করেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে (১৯৩৯-১৯৪৫) বার্মা সেক্টরে এবং ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে (১৯৬৫) কাশ্মির সেক্টরে অংশ নেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে লে. কর্নেল পর্যন্ত পদোন্নতি লাভ করে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর যোগ দেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ-বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা বাঙালি নিধনযজ্ঞ শুরু করলে তার নেতৃত্বে বৃহত্তর সিলেট জেলায় পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠিত হলে মুক্তিবাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদে নিযুক্তি লাভ করেন। তখন তিনি প্রধান সেনাপতি কর্নেল (পরে জেনারেল) এম এ জি ওসমানীর সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রাক্কালে ওসমানীর সাথে হেলিকপ্টারে মুক্তাঞ্চল সফরকালে কে বা কারা ওই হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে মেশিনগানের গুলি নিক্ষেপ করলে আবদুর রব গুরুতর আহত হন।
১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত চিফ অব স্টাফ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অবসর নেয়ার সময় অবৈতনিক মেজর জেনারেল পদমর্যাদা লাভ করেন তিনি। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ হবিগঞ্জ জেলা থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন প্রথম নির্বাচনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য আবদুর রব ‘বীর উত্তম’ উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি ‘কর্নেল রব’ নামে সমধিক পরিচিত। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। ঢাকায় ১৫ নভেম্বর ১৯৭৬ সালে ইন্তেকাল করেন। হ

আরো সংবাদ