নির্বাচনে জালিয়াতির প্রতিবাদে ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ, নিহত ১১
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৪
ভেনেজুয়েলা-জুড়ে প্রতিবাদ চলছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগে রাস্তায় নেমেছেন মানুষ। সংঘর্ষে নিহত ১১ জন।
নিহতের মধ্যে মধ্যে দু’জন কিশোরও আছে। বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছে। ৭০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিরোধী দল ভোলানটাড পপুলার জানায়, তাদের জাতীয় আহ্বায়ক ফ্রেডি সুপারলানোকে আটক করা হয়েছে। ভেনটে ভেনেজুয়েলার প্রবীণ নেতা রিকার্ডো এস্তেভেজকেও আটক করা হয়েছে বলে তার দল জানায়।
ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল তারেক উইলিয়াম সাব জানান, কমপক্ষে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছে। ৪৮ জন পুলিশ ও সেনা অফিসার আহত হয়েছেন। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিক্ষোভ নিয়ে যা জানা গেছে
ভেনেজুয়েলার জাতীয় নির্বাচন কাউন্সিল (সিএনই) রোববার ঘোষণা করে, প্রেসিডেন্ট মাদুরো ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতেছেন। তিনি তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়।
বিরোধীদের দাবি, তাদের প্রার্থী এডমুন্ডো গঞ্জালভেস উরুতিয়া যে জিতেছেন তার প্রমাণ তাদের কাছে আছে। ৭৩ শতাংশ ভোট যখন গণনা হয়েছিল, তখন বিরোধী প্রার্থী প্রচুর ভোটের ব্যবধানে জিতছিলেন বলে তাদের দাবি।
গঞ্জালভেস বলেন, ‘আমাদের কাছে ভোটের যে রিপোর্ট আছে, তা দেখাচ্ছে যে আমিই জিতেছি।’
এরপর বিরোধী সমর্থক ও সদস্যরা রাস্তায় নেমে আসে। কিছু বিরোধী-কর্মী রাস্তা অবরোধ করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের কাছেও জমায়েত হয়।
পুলিশ টিয়ারশেল ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চায়। মাদুরোর পূর্বসূরি ও তার মেন্টর হুগোর একটি মূর্তি ভেঙে রাস্তায় নিয়ে এসে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এক বিক্ষোভকারী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, ‘আমরা পরিবর্তন চাই। এই সরকারকে নিয়ে আমরা পরিশ্রান্ত। আমরা স্বাধীন ভেনেজুয়েলা চাই। আমরা চাই, আমাদের পরিবার এখানে ফিরে আসুক। সাম্প্রতিক সময়ে ভেনেজুয়েলার এক তৃতীয়াংশ মানুষ দেশের বাইরে চলে গেছেন। বিক্ষোভকারী সেই প্রসঙ্গই তুলেছেন।’
আরেকজন বিক্ষোভকারী জানান, ‘আমরা দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করব। আমাদের কাছ থেকে ভোট চুরি করা হয়েছে।’
সংবাদপত্রের রিপোর্ট বলছে, পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী কড়া হাতে বিক্ষোভের মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট মাদুরো বলেন, ‘আমরা এই চিত্রনাট্য আগেও দেখেছি। নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিরক্ষা করবে। অতি-বামেরা যে সহিংসতা করছে তার ওপর নজর রাখা হচ্ছে।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাদ্রিনো লোপেজ বলেন, ‘স্বৈরাচারী ও অতি-বামেরা বিদ্রোহ করতে চাইছে। তা সফল হবে না।’
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
অনেক দেশই ভেনেজুয়েলাকে বলেছে, তারা যেন ভোটাভুটির পুরো বিবরণ প্রকাশ করে। কে কত ভোট পেয়েছেন তা জানায়।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, পুরো প্রক্রিয়াটা অস্বচ্ছ। তাই ভেনেজুয়েলার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দাবি, নির্বাচনের বিস্তারিত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
পেরু ঘোষণা করেছে, তারা গঞ্জালভেসকেই ভেনেজুয়েলার ন্যায্য প্রেসিডেন্ট বলে মনে করে। কোস্টারিকা বিরোধী নেতাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে চেয়েছে। পানামা ভেনেজুয়েলার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাতিল করেছে। ভেনেজুয়েলাও সাতটি ল্যাটিন আমেরিকার দেশ থেকে কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা