নাৎসি অপবাদ দিয়ে ডয়চে ভেলে বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪০, আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:৫৪
ভেনেজুয়েলায় দুর্নীতি নিয়ে এক প্রতিবেদনের কারণে রুষ্ট হয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডয়চে ভেলেকে ‘নাৎসি’ অপবাদ দিয়েছেন। দেশটির সম্প্রচার বন্ধ করায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডিডাব্লিউ-এর মহাপরিচালক।
ল্যাতিন আমেরিকায় রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দেশ ভেনেজুয়েলায় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সংগঠিত অপরাধ চক্রের যোগসাজশ নিয়ে একাধিক ভাষায় একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল ডয়েচে ভেলে। সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ডিডাব্লিউ-কে ‘নাৎসি’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিরস্কার করে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেন। সেই তালিকায় তিনি সিএনএন এবং সেই সংবাদ প্রতিষ্ঠানের স্প্যানিশ ভাষার শাখা, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সংবাদ সংস্থাকেও রেখেছেন।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সংস্থাকে মাদুরো বলেন, অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠানের মতো জার্মানির ‘নাৎসি’ মিডিয়া ডয়চে ভেলেও বিশ্বের সব অপরাধের জন্য ভেনিজুয়েলার মানুষকে দায়ী করছে।
তার মতে, ভেনেজুয়েলা ও ব্যক্তিগতভাবে তার ভাবমূর্তির ক্ষতি করাই এই অভিযানের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ডিডাব্লিউ-এর এক বার্তায় ভিডিওর কিছু অংশ শেয়ার করে মন্তব্য করা হয়েছিল যে দুর্নীতির ক্ষেত্রে মাদুরোর নিজের ভূমিকা স্পষ্ট নয়।
মাদুরোর অভিযোগের পরেই ভেনেজুয়েলায় ডয়চে ভেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক অবিলম্বে ভেনেজুয়েলার উদ্দেশে ডিডাব্লিউর স্প্যানিশ ভাষার চ্যানেলের সম্প্রচার আবার চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভেনেজুয়েলার মানুষকে স্বাধীনভাবে নিরপেক্ষ তথ্য সন্ধানের অধিকার থেকে গুরুতরভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
লিমবুর্গের মতে, মাদুরোর শাসনকালে লাখ লাখ মানুষ ভেনেজুয়েলা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, দেশটিতে সংবাদ মাধ্যমের মৌলিক স্বাধীনতা নেই। তাই তথ্য-নির্ভর সমালোচনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে মাদুরোর অযৌক্তিক তুলনা অপ্রত্যাশিত নয়।
জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে দারিদ্র্য ও সহিংসতার কারণে ৭০ লাখের বেশি মানুষ ভেনেজুয়েলা থেকে পালিয়ে গেছে।
ল্যাতিন আমেরিকার তরুণ প্রজন্মের জন্য ইউটিউব স্টাইলের ভিডিও ফরম্যাট চালু করে ডয়চে ভেলে প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরছে। ‘কোমো তে আফেক্তা’ বা ‘এটা তোমাকে কিভাবে প্রভাবিত করে’ নামের ভিডিওতে চলতি সপ্তাহে ভেনেজুয়েলায় দুর্নীতি সম্পর্কে নানা তথ্য পেশ করা হয়েছিল। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনলকে উদ্ধৃত করে সেই রিপোর্টে সোমালিয়ার ঠিক পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
রিপোর্টার উইদাউট বর্ডার্স সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভেনেজুয়েলার স্থান ১৫৯। মোট ১৮০টি দেশের সেই তালিকার শেষের দিকে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ কিউবা, হন্ডুরাস ও নিকারাগুয়ার নামও রয়েছে। আগামী ২৮ জুলাই ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা