২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হাইতি থেকে নাগরিকদের সরতে বললো আমেরিকা

- ছবি : ডয়চে ভেলে

হাইতিতে জেল ভাঙার পরে প্রধানমন্ত্রী-বিরোধী বিক্ষোভ আরো বেড়েছে। আমেরিকা দ্রুত তাদের সমস্ত নাগরিককে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে।

সোমবার আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘হাইতিতে তাদের দূতাবাস কেবলমাত্র অতি প্রয়োজনীয় কাজের জন্য খোলা থাকবে।’

অন্যদিকে, কানাডা জানিয়েছে, ‘এই পরিস্থিতিতে তারা দূতাবাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দূতাবাসের কর্মীদেরও ফিরিয়ে নেয়া হচ্ছে দেশে।’

জাতিসঙ্ঘও হাইতির পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছে। সেখানে জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তার বিশেষ দল আছে। তাদের অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে জাতিসঙ্ঘ। জাতিসঙ্ঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস নিজে হাইতির পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ‘দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলা করা প্রয়োজন।

তবে দেশের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। রোববার জেল ভেঙে বাইরে চলে এসেছিল হাজার হাজার অপরাধী। সোমবার রাজধানীর রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পুলিশের সাথে লড়াই করে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে তারা। প্রকৃতপক্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে হাইতির রাজপথ। প্রধানমন্ত্রী এখনো গোপন আশ্রয়ে আছেন। তিনি কেনিয়ায় গিয়েছিলেন সাহায্য চাইতে। কেনিয়ার সাহায্যে দেশের নিরাপত্তারক্ষীর দলকে আরো মজবুত করতে। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন দেশে গ্যাং-লড়াইয়ের কথা, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার আগেই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে। প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে একের পর এক হামলা চলছে। আগুন জ্বলছে।

এ দিকে, গ্যাং লিডার জিমি চেরিসিয়ার জানিয়েছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। নইলে পরিস্থিতি বদলাবে না।’

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন এবং নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু বাস্তবে তিনি তা করেননি।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement