২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ঝড়-বৃষ্টিতে ডুবলো ক্যালিফোর্নিয়া, হলিউড হিলে কাদাস্রোত

- ছবি : ডয়চে ভেলে

কয়েক মাস ধরে যে বৃষ্টি হয়, তা একদিনে হয়েছে। সাথে প্রবল ঝড়। ফলে ক্যালিফোর্নিয়ায় অনেক এলাকা জলে ডুবে গেছে।

রোববার রাত থেকে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি। এখনো পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসে ২৪ ঘণ্টায় ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

দেশটির গভর্নর গাভিন নিউসম জানিয়েছেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলেস ও সান দিয়েগোসহ দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।’

গভর্নর জানিয়েছেন, ‘ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া। মার্কিন আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মৌসুমের সবচেয়ে বড় ঝড় হয়েছে। এর ফলে চকিত বন্যা হয়েছে, নদীর পানি উপচে পড়েছে। কাদামাটি শহরে ঢুকে পড়েছে। এর ফলে আরো মানুষ মারা যেতে পারেন।’

মঙ্গলবারও লস অ্যাঞ্জেলেস অববাহিকা-সহ দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া প্রবল বৃষ্টি হবে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।

এর আগেই রোববারই লস অ্যাঞ্জেলেসে ৯৭ বছরের পুরনো রেকর্ড ভেঙে গেছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় চার দশমিক এক ইঞ্চি (১০ সেন্টিমিটারের বেশি) বৃষ্টি পড়েছে।

এখনো পর্যন্ত যা হয়েছে :
হলিউড পার্বত্য এলাকায় কাদার স্রোত ঢুকে যাওয়ায় বহুমূল্য বাড়ি ও গাড়িগুলোর বিপুল ক্ষতি হয়েছে।

সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকায় রাস্তাঘাট জলের তলায় চলে গেছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের অবস্থাও তাই। সেখানে বহু জায়গা জলের তলায়, ৪৯ জায়গায় কাদামাটি ও আবর্জনার স্রোতে বইছে। বহু জায়গায় গাড়ির মধ্যে মানুষ আটকে পড়েছেন। এক হাজার দমকল পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে। কিছু জায়গায় আগুনও লেগেছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ‘ঝড়ের গতি এখন কম। এখন আরো বেশি করে বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার ঝড়ের গতি বাড়তে পারে। কিছু জায়গায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ঝড় হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কেন্দ্রে একবারে যা বৃষ্টি হয়েছে, তা ৬ মাসের সমান। সোমবার সন্ধ্যা থেকে সাত লাখ ১০ হাজার মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। প্রচুর বিমান বাতিল করা হয়েছে বা অনেক দেরিতে চলছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়ছে, পরিস্থিতি বেশ সঙ্কটজনক। পাহাড়ি এলাকা থেকে কাদাস্রোত, চকিত বন্যা হতে পারে। তাই সেখান থেকে মানুষদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসকে এক আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন, ‘হলিউড হিল থেকে সান্তা মোনিকার পাহাড়ি এলাকা পর্যন্ত এলাকায় প্রচুর মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই এলাকায় গাড়িতে প্রচুর মানুষ আটকে পড়েছেন। হলিউড হিলে বাড়ির ভিতরে কাদামাটির স্রোত ঢুকে যাওয়ায় অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

এভাবেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বুঝতে পারছে আমেরিকা।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement