সুন্দরী হয়েও যে কারণে অবিবাহিত থেকে যাচ্ছেন গ্রামটির নারীরা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৩৩
কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না পাত্র। আর সে কারণেই অবিবাহিত অবস্থাতেই থেকে যেতে হচ্ছে তরুণীদের। অবিশ্বাস্য হলেও, এমনই এক গ্রাম রয়েছে ব্রাজিলে।
দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের পাহাড়ি গ্রাম নোইভা ডো কোরডোইরো। এই গ্রামে নারীদেরই আধিক্য বেশি। ৬০০’রও বেশি নারী থাকেন এই গ্রামে। যে কয়েকজন নারী বিয়ে করেছেন তারা নিজেদের গ্রাম ছেড়ে কখনো যাননি। ফলে স্বামীকে ছাড়াই থাকতে হয়। সপ্তাহ শেষে দু’দিনের জন্য স্বামীরা গ্রামে আসেন। তা ছাড়া ছেলেদের ১৮ বছর বয়স হলেই বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ফলে ক্রমে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি।
এই গ্রামের সকল নারী ও তরুণী খুবই সুন্দরী। কিন্তু তা সত্ত্বেও জীবনসঙ্গীর অভাব কেন? জানা গেছে, এই গ্রামের একটি রীতি রয়েছে, বিয়ের পর কোনো মেয়ে গ্রাম ছেড়ে যাবেন না। স্বামীকেই ওই গ্রামে তার স্ত্রীর সাথে থাকতে হবে। ফলে এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই গ্রামের তরুণীদের জন্য।
সুন্দরী এবং বিবাহযোগ্যা হলেও মেয়েরা সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন না। গ্রামেই স্ত্রীর সাথে থাকতে হবে বলে আশপাশের এলাকার কোনো পুরুষই ওই গ্রামে বিয়ে করতে চান না। ফলে বিবাহযোগ্যা হয়েও মেয়েদের অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে স্রেফ ওই কারণের জন্য।
এর পিছনেও একটি কাহিনী রয়েছে। জানা যায়, ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামে একটি মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয়। এর পরই তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নোইভা ডো কোরডোইরো এলাকায় চলে আসেন। ১৮৯১ সালে তিনি এখানে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন। আর তখন থেকেই স্থির হয় এই গ্রামের কোনো মেয়ে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাবে না। স্বামীকেই স্ত্রীর সাথে থাকতে হবে। গ্রামের এই অদ্ভুত রীতির কারণেই অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে মেয়েদের।
সূত্র : ডেইলি মেইল, আনন্দবাজার পত্রিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা