কিউবায় কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ যে কারণে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ জুলাই ২০২১, ২২:০৯
কিউবার কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের পর সেখানে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। কিউবাজুড়ে বহু শহর ও নগরীতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। তারা 'স্বৈরাচার নিপাত যাক' ও 'স্বাধীনতা' বলে স্লোগান দিচ্ছে। এই ক্যারিবিয় দ্বীপে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ খুবই বিরল। সরকারবিরোধী যেকোনো ভিন্নমত সেখানে দমন করা হয়। কিন্তু কিউবার সান আন্তনিও শহর থেকে একজন বিক্ষোভকারী বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা ভীত নই। আমরা পরিবর্তন চাই। আমরা আর কোনো স্বৈরাচার চাই না।’
যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে নাকের ডগায় এই দেশটিতে সম্প্রতি এমন কী ঘটেছে, যার ফলে সেখানে কমিউনিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে এরকম ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে?
করোনাভাইরাস সঙ্কট
বিবিসি নিউজ মুন্ডুর লিওমান লিমা বলছেন, রোববারের এই বিক্ষোভ মনে হচ্ছে তীব্র অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য সঙ্কটের ফলে সমাজে যে ব্যাপক হতাশা তৈরি হয়েছে, তারই ফল। করোনাভাইরাস মহামারী ও অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা কিউবার সাধারণ মানুষের জীবন আরো কঠিন করে তুলেছে। ২০২০ সালে কিউবা বেশ ভালোভাবেই কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ সীমিত রাখতে পেরেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ বেড়েছে।
গত রোববার কিউবায় সরকারি হিসাবে ছয় হাজার ৭৫০ জন কোভিড পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়েছে। যদিও বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর দাবি, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। গত সপ্তাহে দেশটিতে প্রতিদিনই সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যায় নতুন রেকর্ড হয়েছে, যা দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রচণ্ড চাপের মুখে ফেলেছে।
বিবিসি বেশ কয়েকজন কিউবানের সাথে কথা বলেছে, যারা দাবি করেছে যে তাদের আত্মীয়রা কোনো চিকিৎসা ছাড়া বাড়িতেই মারা গেছে।
লিসভেইলিস এচেনিকের ক্ষেত্রে এরকমটাই হয়েছিল। তার ৩৫-বছর বয়সী ভাই বাড়িতে মারা যায়, কারণ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করার মতো কোনো জায়গা খালি ছিল না। আর মিগেল পেরেজ নামে আরেকজন দাবি করেছেন, তার গর্ভবতী স্ত্রী চিকিৎসার অবহেলায় মারা গেছে।
কিউবার সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু হ্যাশট্যাগে ( #SOSCuba ) সেখানে মানবিক হস্তক্ষেপের জন্য আবেদন জানানো হচ্ছিল। এরপর হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে যোগ দেয়। হাসপাতালগুলো যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, এরকম কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট মিগেল ডিয়াজ-কানাল রোববার বলেছেন, তার দেশের বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অন্যান্য দেশের মতোই। তিনি আরো বলেছিলেন, কিউবা এই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তাদের নিজস্ব টিকা তৈরি করেছে। তবে এই টিকাদানের হার এখনো বেশ সীমিত।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি
কিউবার অর্থনীতির অন্যতম ইঞ্জিন হচ্ছে পর্যটন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে পর্যটন একেবারে বন্ধ। এর বিরাট প্রভাব পড়েছে কিউবার অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর। এর সাথে যুক্ত হয়েছে মূল্যস্ফীতি, বিদ্যুৎ ঘাটতি, খাদ্য ঘাটতি, ওষধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সঙ্কট।
এ বছরের শুরুতে সরকার একগুচ্ছ নতুন অর্থনৈতিক সংস্কারের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর পাশাপাশি বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু এরপর জিনিসপত্রের দাম বাড়তে শুরু করে। কলম্বিয়ার পন্টিফিকিয়া জাভেরিয়ানা ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ পাভেল ভিডালের অনুমান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কিউবায় জিনিসপত্রের দাম ৫০০% হতে ৯০০% পর্যন্ত বাড়তে পারে।
গত বছর হতে কিউবার সরকার এমন কিছু দোকান খুলেছে যেখানে কিউবার মানুষ বৈদেশিক মুদ্রায় খাবার ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারে। কিন্তু স্থানীয় লোকজন এসব দোকান নিয়ে ক্ষুব্ধ। কারণ তারা বেতন পান তাদের জাতীয় মুদ্রা পেসোতে।
কিউবার মানুষ তেল, সাবান বা মুরগি কেনার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। এই মহামারীর সময় এটি প্রতিদিনের দৃশ্য। একেবারে সাধারণ ওষুধপত্র পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছিল না ফার্মেসি বা হাসপাতালগুলোতে। অনেক প্রদেশে ময়দা ফুরিয়ে যাওয়ায় কুমড়ার রুটি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছিল।
বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কিউবানরা জানিয়েছেন, অনেক মেডিক্যাল সেন্টারে অ্যাসপিরিন পর্যন্ত নেই। সেখানে স্কেবিজ ও অন্যান্য সংক্রামক ব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে।
গত মাসে সরকার ঘোষণা করে, তারা সাময়িকভাবে ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলার গ্রহণ বন্ধ করে দেবে। যেসব কিউবান বিদেশে থাকে, তারা তাদের রেমিটেন্স পাঠায় ডলারে।
অনেক অর্থনীতিবিদের মতে, মার্কিন ডলারের বিরুদ্ধে এরকম কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনা পরলোগত প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রোর সরকারের পর আর দেখা যায়নি। কিউবার সরকার বলেছিল, তাদের এটা করতে হচ্ছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে। কারণ এই নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা মার্কিন ডলার বিদেশে ব্যবহার করতে পারছে না।
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল ডিয়াজ-কানাল রোববার টেলিভিশনে যে ভাষণ দেন, সেখানে তিনি বলেছিলেন, কিউবার স্বাস্থ্য ও জনগণের উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় হুমকির জন্য এই সমস্যাই দায়ী।
ইন্টারনেট বিপ্লব
কিউবায় কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর এর আগে সবচেয়ে সবচেয়ে বড় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল ১৯৯৪ সালে হাভানায়। তবে তখন আসলে সেখানে ঠিক কী ঘটেছিল, বেশিরভাগ মানুষ তা জানতেই পারেনি। কিন্তু প্রায় তিন দশক পর এবার পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন।
রাউল ক্যাস্ত্রো যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তিনি বেশ কিছু উদার পদক্ষেপ নেন, যার ফলে কিউবার মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পায়।
এখন কিউবার জনগণের এক বিরাট অংশ বিশেষ করে তরুণরা ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করছে। তাদের তথ্য পাওয়ার প্রধান উৎস এগুলোই।
কিউবায় ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারটা আমাদের কাছে অনেকটা পেরেস্ত্রোইকার মতো, বলছেন নরগেস রড্রিগুয়েজ। তিনি কিউবার সরকারবিরোধী অনলাইন মিডিয়া 'ইউকাবাইট'-এর পরিচালক।
রড্রিগুয়েজের মতে, কিউবানরা যে মহূর্তে প্রথমবারের মতো অনলাইনে যেতে পেরেছে ও কোনো বাধা ছাড়া সব তথ্য জানার সুযোগ পেয়েছে, সেটা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার আগে ১৯৮০-এর দশকে পেরেস্ত্রোইকা নামে যে রাজনৈতিক সংস্কারের সূচনা হয়েছিল, তার সাথে তুলনীয়।
এ কারণেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরকে কিউবার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ তখন হতেই কিউবানরা তাদের মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু করে।
কিউবা এমন এক দেশ যেখানে সরকারের বিরোধিতা করার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই দু'বছরের মধ্যে ডিজিটাল জগৎ ভিন্নমত প্রকাশের একটা জায়গা হয়ে উঠলো। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এমন কিছু চ্যানেল গড়ে উঠলো যাদের প্রচার করা মতামত কিউবার সরকারি মিডিয়া থেকে ভিন্ন।
এরকম প্ল্যাটফর্মেই গত ১১ জুলাই কিউবার এক ছোট্ট শহর সান আন্তনিও ডে লস বানোসোর এক বিক্ষোভ ভাইরাল হয়েছিল। এই শহরটি রাজধানী হাভানা থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণে। এর জের ধরে শুরু হলো দেশজুড়ে বিক্ষোভ। ‘এরকম বিক্ষোভ সম্ভব হচ্ছে ইন্টারনেট থাকার ফলেই। কারণ এটি ফেসবুক লাইভে এসে ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই তা শেয়ার করার সুযোগ করে দিচ্ছে’, বলছেন 'কিউবার ডিজিটাল বিপ্লব' নামে একটি বইয়ের লেখক টেড হেনকেন।
নিউইয়র্ক থেকে তিনি বিবিসিকে বলেন, এ কারণেই এসব বিক্ষোভ এত দ্রুত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কগুলো থেকেই এর শুরু। এগুলোর মাধ্যমে সমাজের হতাশা প্রকাশ হওয়ার পথ পাচ্ছে।
হাভানা থেকে একজন বিক্ষোভকারী মার্টিনেজ রামিরেজ বিবিসিকে বলেন, লোকজন যখন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে, সেটা নিজের চোখে দেখা আর এরকম প্রতিবাদের কথা অন্যমুখে শোনা, এই দু’টি কিন্তু এক নয়।
কিউবানরা এসব ঘটনাপ্রবাহ সরাসরি ফেসবুক লাইভে দেখেছে। স্থানীয় কথ্য ভাষায় এটাকে বলা হয় 'লা ডিরেক্টা', এটাই হয়ে উঠেছে সবার পছন্দের প্ল্যাটফর্ম। কারণ অন্য প্ল্যাটফর্মের মতো ফেসবুকের কনটেন্ট ডিলিট করা যায় না।
‘এটার প্রভাব পড়েছে সবকিছুর ওপর। আমরা সান আন্তনিওতে একটা স্বতস্ফূর্ত বিক্ষোভ দেখেছি। এরপর এটি ছড়িয়ে গেছে’, বলছেন রামিরেজ। এরপর হাভানায় যেসব বিক্ষোভ হয়েছিল, সেগুলো আবার রেকর্ড করেছিলেন তিনি।
অন্যান্য বিক্ষোভকারীরারও বিভিন্ন বিক্ষোভের ভিডিও রেকর্ড করে তা অনলাইনে দিয়েছেন। সারা বিশ্বের মানুষ সেগুলো দেখেছে। তারা এখনো এরকম বিক্ষোভের ছবি অনলাইনে পোস্ট করে চলেছেন।
সেন্সরবিহীন প্ল্যাটফর্মের শক্তি
টেড হেনকেন বলেন, ফেসবুক লাইভে শেয়ার হওয়া ভিডিওগুলো কিন্তু বিক্ষোভকারীরা নিজেরা রেকর্ড করেছে। কোনো সেলেব্রেটি করেনি। তিনি বলেন, 'লা ডিরেক্টা' ব্যবহার করে যেটাই প্রচার করা হচ্ছে, সেটা সরকার কোনোভাবে সেন্সর করতে পারছে না। আর যারা অন্যত্র বসে এই বিক্ষোভ দেখছে তাদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর এরপর আছে এটা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটা যখন এরকম কনটেন্ট অন্য মিডিয়ায় পুনপ্রচারিত হচ্ছে, অথবা সাংবাদিক, প্রভাবশালী ব্যক্তি, শিল্পী বা অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মীরা এটি শেয়ার করছেন, তখন এই বার্তা আরো বেশি করে ছড়িয়ে পড়ছে।
এভাবেই মাত্র কয়েকদিন আগেও #SOSCuba বা #SOSMatanzas হ্যাশট্যাগ যেখানে কেবল কিউবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তা এখন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে চলে গেছে, সেখান থেকে তৈরি হয়েছে এখন #PatriaYVida এর মতো হ্যাশট্যাগ।
কিউবায় সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে ফেসবুক। এর পাশাপাশি কিউবানরা হোয়াটসঅ্যাপ, সিগনাল ও টেলিগ্রামও ব্যবহার করে, যেগুলো টেড হেনকেনের ভাষায় ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স।’
টুইটার ও ইনস্টাগ্রামও ব্যবহার করে কিছু লোক। তবে এগুলোর ব্যবহার খুব ব্যাপক নয়। টেড হেনকেন এই বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন যে কিউবায় ইন্টারনেট আসার ফলে পরিস্থিতি হয়তো বদলে গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত কে এই' ডিজিটাল স্পেস' নিয়ন্ত্রণ করবে তা বলার সময় এখনো আসেনি।
ডিজিটাল যুদ্ধ
কিউবার সরকারও কিন্তু তাদের নিজেদের বার্তা প্রচারের জন্য ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে। প্রেসিডেন্ট মিগেল ডিয়াজ-কানেল সোমবার বলেছেন, এই বিক্ষোভকারীরা কিউবার মানুষের ঐক্য ধ্বংস করতে চায়। সরকার ও বিপ্লবের অর্জন নষ্ট করতে চায়।
তিনি বলেন, জনগণের একটি অংশ আইন ভঙ্গ করছে। যাদেরকে আমরা দেখেছি, তারা দুস্কৃতকারী। তারা শান্তিপূর্ণ ছিল না, তারা ধ্বংসাত্মক কাজ করছিল.. তারা পুলিশের দিকে ঢিল ছুঁড়েছে, রাস্তায় গাড়ি উল্টে দিয়েছে। এটা একেবারেই অসভ্য, অশ্লীল, ধ্বংসাত্মক আচরণ।
তিনি আরো বলেন, আমরা কোন সঙ্ঘাত হোক, এটা চাইনি। আমরা জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম বিপ্লব রক্ষার জন্য, তাদের অধিকার রক্ষার জন্য। জনগণ সেটাই করেছে।
সরকার পক্ষের লোকজনও অনলাইনে তাদের ভিডিও পোস্ট করেছে। বিবিসি কিউবার সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছিল তাদের বক্তব্য জানার জন্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
সরকারি দমন-পীড়ন
রোববার সন্ধ্যায় কিউবার সরকার মোবাইল ফোনের ইন্টারেনট সেবায় বাধা দিতে শুরু করে। ইন্টারনেট সংযোগ কমিয়ে আনতে থাকে। মঙ্গলবার নাগাদ কিউবার অবাধ তথ্য প্রবাহ বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা শুরু করে। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের সেবার ওপর আংশিক বিধিনিষেধ জারি হয়। কিছু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে টার্গেট করে সেগুলো ব্লক করা হয়।
একজন সরকারবিরোধী রাজনৈতিক কর্মী বিবিসিকে জানান, ইন্টারনেট সংযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন। আমি জানি না, আমার অনেক বন্ধু এখন কোথায় আছে।
গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা বলেন, সরকার চেষ্টা করছে একটা ডিজিটাল ব্ল্যাকআউট জারি করার, যাতে করে বিক্ষোভকারীদের যোগাযোগ চ্যানেল থেকে বঞ্চিত করা যায়। টেড হেনকেন বলেন, কিউবার ডিজিটাল বিপ্লব কে নিয়ন্ত্রণ করবে? কেউই নয়, আবার সবাই। কারণ এখানে সুস্পষ্টভাবে কেউই বিজয়ী নয়। এটা একটা যুদ্ধ।
সূত্র : বিবিসি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা