হঠাৎই চেনা গেল বাড়িছাড়া ছেলেকে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ ডিসেম্বর ২০২০, ০৭:১৯
আগে আর পরে। কেমন ছিলাম, কেমন আছি। প্রায়ই এ ধরনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হয়। বন্যা বয়ে যায় লাইক, কমেন্টের। কিন্তু এমন ছবিই যে হারিয়ে যাওয়া পরিবারকে খুঁজে দেবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি জোয়াও কোয়েলহো গিমারেস। এক দশক পরে তাকে পরিবারের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে।
এ যেন ‘গোঁফের আমি গোঁফের তুমি, তাই দিয়ে যায় চেনা।’এখানে অবশ্য শুধু গোঁফ নয়, তাকে চিনিয়ে দিয়েছে চুল-দাড়িও। ব্রাজিলের রাস্তায় আর পাঁচজন ভবঘুরের মতোই দিন কাটছিল গিমারেসের। পরনে মলিন, জীর্ণ পোশাক। দীর্ঘদিন মাথায় পড়েনি তেল-সাবান। ফলে জট পাকিয়ে গিয়েছে চুল। সময়ের নিয়মে কাঁচা-পাকা গোঁফ, দাড়িতে ঢেকেছে গোটা মুখ। এর-ওর থেকে চেয়েচিন্তে খেয়ে কোনো মতে পেট ভরে। রাত কাটে খোলা আকাশের নিচে।
এভাবেই দিন যাচ্ছিল...। মোড় ঘুরল আলেসান্দ্রো লোবোর সঙ্গে সাক্ষাতে। দিন কয়েক আগের ঘটনা। ফুটপাতে দোমড়ানো থালা হাতে বসেছিলেন গিমারেস। তাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় পথচলতি বহু মানুষ। ফুটপাত ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় ওই ভবঘুরেকে দেখতে পান আলেসান্দ্রো। থমকে দাঁড়ান তিনি।
গিমারেসের চোখে চোখ রাখতেই তার মনে হয়, অনেক দিন হয়তো লোকটার পেটভরে খাওয়া জোটেনি। নিচু স্বরে আলেসান্দ্রো জানতে চান, খিদে পেয়েছে? কথাটা শুনেই গোঁফ-দাড়িতে ঢেকে যাওয়া ভবঘুরের মুখে ক্ষীণ হাসি ফুটে ওঠে। মাথা নেড়ে সম্মতি দেন— হ্যাঁ। সঙ্গে অনেকটা আব্দারের ভঙ্গিতে একটা ব্লেড চান। বলেন, কতদিন যে দাড়ি কাটিনি!
আলেসান্দ্রো একজন হেয়ারস্টাইলিস্ট। গিয়ারেসকে সেখানেই তুলে আনেন তিনি। ঠিক করেন, ওই ভবঘুরেকে একটা অন্যরকম দিন উপহার দেবেন। সেইমতো চুল-দাড়ি, গোঁফ কেটে তার ‘ফ্রেশ লুকে’র ছবি পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। গিয়ারেসের হাতে তুলে দেন নতুন কোর্ট, জামা-প্যান্ট। ভাইরাল হয় সেই ছবি।
দীর্ঘ এক দশক বাড়িছাড়া গিয়ারেস। পরিবারের সদস্যরা ধরেই নিয়েছিলেন তিনি মারা গিয়েছেন। কিন্তু, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তাদের কাছেও পৌঁছে যায় গিয়ারেসের ছবি। দাড়িভর্তি মুখ দেখে প্রথমে চিনতে না পারলেও নয়া লুকের গিয়ারেসকে চিনে নিতে এক মুহূর্ত দেরি হয়নি তার মা ও বোনের। বড়দিনের আগে পরিবারকে ফিরে পেয়ে আপ্লুত গিয়ারেসও।
সূত্র : বর্তমান
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা