২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

করোনায় লাশের মিছিল, কবরস্থানে জায়গা না হওয়ায় পুড়ানো হচ্ছে লাশ

- ছবি : সংগৃহীত

করোনার আঘাতে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি মেক্সিকো৷ নাজেওয়ারকোয়িওটো শহরে মৃত্যুর হার এত বেশি যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ লাশ সমাহিত করতে হিমশিম খাচ্ছে৷ জোনাথন আল্পিয়েরি ক্যামেরায় দেখুন বিস্তারিত৷

মৃতের জন্য আর কোনো জায়গা নেই
নাজেওয়ারকোয়িওটো শহরের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় একটির উপর আরেকটি লাশ রাখা হচ্ছে৷ কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছে না৷ তাই নতুন লাশ জায়গা দিতে কর্তৃপক্ষ মৃতশিশুসহ অনেকের পুরনো কফিন সরিয়ে ফেলছে৷

রাস্তায় কফিন
একটি শিশুর কফিন যেটি আগে কবরস্থানে ছিল, সেটিকে এখন রাস্তায় রাখা হয়েছে৷ যদি তার পরিবার লাশটি অন্য কোথাও নিতে না চায় তাহলে সেটি বের করে পুড়িয়ে ফেলা হবে৷ আর তখন তার কফিনে নতুন কোন মৃতের জায়গা হবে৷

করোনা ভাইরাসের কঠিন আঘাত
কোভিড-১৯ এ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি মেক্সিকো৷ সেখানে ৩১ জুলাই অবধি করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৬৮৮ জন, আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ২৪ হাজার ৬৩৭ জন৷ নাজেওয়ারকোয়িওটো শহরের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি৷ মেক্সিকোর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই পৌরসভায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৫ হাজার মানুষ বাস করেন৷

মেক্সিকো সিটির পাশে হটস্পট
নাজেওয়ারকোয়িওটো শহরের অবস্থান মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির পাশেই৷ সেখানকার অনেক বাসিন্দা মূলত ছোটখাট ব্যবসা করে জীবন চালান৷ করোনাকালে তাদের পক্ষে জীবন চালিয়ে নেয়া বেশ দুরুহ হয়ে উঠেছে৷

পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে লাশ
মানুষ এত দ্রুত মারা যাচ্ছে যে তাদের সমাধিস্থ করা আর সম্ভব হচ্ছে না৷ তাই অনেক লাশ এখন পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে৷ নগরে লাশ পোড়ানো স্থানের কর্মীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন আটটা বা তারও বেশি লাশ পোড়ানো হচ্ছে৷

হাসপাতালের বদলে ঘরেই থাকছেন আক্রান্তরা
অ্যাম্বুলেন্স আর হাসপাতালে করোনা ভাইরাস বেশ দ্রুত ছড়ায় - এমন ধারণা থেকে অনেক পরিবার তাদের করোনা আক্রান্ত সদস্যদের বাসাতেই রাখছেন৷ মেক্সিকোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর অসন্তোষও বাড়ছে৷

‘হিট-এন্ড-রান’
গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত এই ব্যক্তিকে চিকিৎসার সময় চিকিৎসকরা সন্দেহ করেন তিনি সম্ভবত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷ দুর্ঘটনার পর তার পরিবারের সদস্যরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷

‘হাসপাতাল নয়, ঘরই নিরাপদ’
আহতের পরিবারের সদস্যরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়৷ বরং গাড়িতে করে বাসায় নিয়ে নিজেরাই তার খেয়াল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়৷ এই ঘটনা দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার এক উদাহরণ৷ ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement