‘এল চাপোর’ ছেলেকে আটকে রাখতে পারলো না মেক্সিকো
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:৪৩
প্রচণ্ড গোলাগুলি ও তাণ্ডব চালিয়ে কুখ্যাত মাদক সম্রাট হোয়াকিম গুজমানের ছেলেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে তার অনুগত দুর্বৃত্ত দল। ‘এল চাপো’ নামে পরিচিত মেক্সিকোর এ মাদক সম্রাটের ছেলে ওভিদিও গুজমান লোপেজকে বৃহস্পতিবার আটক করেছিল দেশটির পুলিশ।
তাকে গ্রেফতার করা নিয়ে উত্তরাঞ্চলের নগরী কুলিয়াকান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। প্রচণ্ড গোলাগুলির মুখে পুলিশ বাধ্য হয়ে ওভিদিও গুজমান লোপেজকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। খবর রয়টার্সের।
মেক্সিকোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলফনসো দুরাজো বলেন, পুলিশের একটি টহল দল বৃহস্পতিবার নিয়মিত তল্লাশির অংশ হিসেবে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওভিদিও গুজমানসহ চারজনকে খুঁজে পায় এবং তাদের গ্রেফতার করে।
রয়টার্সের খবরে প্রকাশ, যুক্তরাষ্ট্রে ওভিদিওর বিরুদ্ধে মাদক পাচারের একাধিক মামলা রয়েছে। সেখানে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
গুজমান গ্রেফতার হওয়ার পর ২০ বছর বয়সী ওভিদিও মেক্সিকোর শীর্ষ মাদক চোরাচালান চক্র ‘সিনালোয়া’তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় চলে আসেন।
ওভিদিওকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই সিনালোয়া গ্যাংয়ের সদস্যরা পুলিশের টহল দলটিকে ঘিরে ফেলে গুলি বর্ষণ শুরু করে। তাদের তাণ্ডবে পুরো নগরী রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তারা নগরী জুড়ে বেশ কয়েটি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ বাধ্য হয়েই ওভিদিওকে ছেড়ে দেয়।
তবে এর ব্যাখ্যায় দুরাজো বলেন, ‘নগরীতে আরো সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া রোধ করে শান্তি ফেরাতে এবং বিশেষ করে আমাদের পুলিশ সদস্যদের জীবন রক্ষা করতেই ওভিদিও গুজমানকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে রয়টার্সসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের ছবিতে কুলিয়াকানের বিভিন্ন সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
কুলিয়াকান সিনালোয়া মাদকচক্রের শক্ত ঘাঁটি। সিনালোয়াই যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাচার করা সবচেয়ে বড় মাদক চক্র বলে জানান কর্মকর্তারা। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারও যেকোনো মূল্যে এই চক্রটি ধ্বংস করতে চায়।
৬২ বছর বয়সী কুখ্যাত গুজমান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কারাগারে আছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত গুজমানকে সেখানে অত্যন্ত সুরক্ষিত কারাগারে অন্তত ৩০ বছর কারাভোগ করতে হবে।
যদিও ১৫ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে দুই দুইবার অভিনব কায়দায় মেক্সিকোর সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগার ভেঙ্গে পালিয়েছিলেন গুজমান।
দ্বিতীয়বার পালানোর ছয় মাস পর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তাকে আবারো পাকড়াও করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরের বছর শুরুর দিকে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা