স্বজনদের থেকে নিজেকে আড়াল করতে মুখোশ পড়লেন লটারিজয়ী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৩, আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৭
জ্যামাইকার এক ব্যক্তি লটারিতে ১০ লাখ ইউরো জিতেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১০ কোটি আট লাখ টাকা। কিন্তু এই লটারির পুরস্কার অর্থ তিনি সংগ্রহ করতে এলেন ভুতের মুখোশ পরে। এই ধরনের মুখোশ সাধারণত ‘ইমোজি মাস্ক’ বলেই পরিচিত।
সুপার লোটো লটারি কর্তৃপক্ষ তাদের এমন পদক্ষেপের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার আত্মীয়-স্বজনরা যেন তার লটারি পাওয়ার খবরটা না জানে, তাই তিনি এ ধরনের মুখোশ পরেই এসেছেন। শুধু মুখোশই নয়, নিজের পরিচয় গোপন রাখতে লটারির পুরস্কার নেয়ার সময় নিজের আসল নাম লুকিয়ে ছদ্মনাম ব্যবহার করেন তিনি। নাম যা-ই থাকুক না কেন, পুরস্কারের প্রতীকী চেকে জ্যামাইকার ওই ব্যক্তি নাম লেখা হয়েছিল এ. ক্যাম্পবেল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মাস্ক পরা অবস্থায় লটারির প্রতীকী চেক গ্রহণের ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়।
লটারি জেতা ওই ব্যক্তি জানান, নিজের আত্মীয়-স্বজনদের ওপর বিন্দুমাত্রও ভরসা ছিল না তার। বরং আশঙ্কা ছিল, তার সম্পত্তির ভাগ চেয়ে বসতে পারেন তারা। সেই কারণেই মুখোশ পরে লটারির টাকা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নেশনস সুপার লোটো থেকে পাওয়া লটারির টাকা পেতে ৫৪ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে ক্যাম্পবেলকে। গত বছরের নভেম্বরে তিনি এই লটারি জিতেছিলেন।
লটারিতে জেতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, টেলিভিশনে যখন জয়ী লটারির নাম্বারটি ঘোষণা করা হলো, তখন আমি তা লিখে রেখেছিলাম। এরপর আমি খাবার খাই এবং তারপরে আমি নিজের লটারির নাম্বারটি চেক করতে যাই। আমি দুইটি নাম্বার মিলাই। তারপর এক সময় বাথরুমে চলে যাই। সেখানেই গিয়েই আমি বলতে থাকি, আমি জিতেছি। আমি জিতেছি।
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই লটারি জেতার পর থেকেই তার শরীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এত টাকা পেয়ে তিনি কী করবেন তা ভাবতে ভাবতে পেটের গ-গোলও বাধিয়ে বসেন তিনি। অবশ্য শেষে তিনি স্থির করেছেন, লটারির এই টাকা দিয়ে তিনি একটি সুন্দর বাড়ি কিনবেন। তার ছোট ব্যবসাটিকেও আরো বড় করে তুলবেন।
তিনি বলেন, আমি একটি সুন্দর বাড়ি পেতে চাচ্ছিলাম। আমি এখনো এটি পাইনি। তবে এবার খুব শীঘ্রই তা পেয়ে যাবো। আমি টাকা নিয়ে চলতে চাই। কিন্তু আমি ভিক্ষা করি না, আমি ঋণ করি না। এখন আমি দেখবো এ টাকা দিয়ে কী কী পাওয়া যায়। আমার একটি ছোট ব্যবসা আছে, আমি তা বড় করার পরিকল্পনা করছি। আমি একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনবো।
ক্যারিবিয়ান দেশ থেকে যারাই লটারিতে কোনো পুরস্কার পায়, দেশের সীমাহীন সন্ত্রাস ও অপরাধের কারণে তাদের সেই পুরস্কারের টাকা গ্রহণ করা ও কাজে লাগানো দূরহ হয়ে ওঠে। এমনকি এক্ষেত্রে বন্ধু বা পরিবারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট হুমকি থাকে।
এর আগে গত জুনে আরও এক সুপার লোটো লটারি বিজয়ী এ রকমই একটি ‘ইমোজি মাস্ক’ পরে লটারির টাকা নিতে এসেছিলেন। তিনিও নিজের পরিচয় গোপন করতেই এ মুখোশ পরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন।
সূত্র : ডেইলি মেইল
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা