যৌন হয়রানির অভিযোগে মার্কিন মিডিয়া মুঘল মুনভিসের পদত্যাগ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:২০
যৌন হয়রানির খবর প্রকাশ্যে আসার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া জায়ান্ট সিবিএসের প্রধান লে মুনভিস পদত্যাগ করেছেন। সূত্র: বিবিসি
গত জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দ্য নিউ ইয়র্কার এ বিষয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে মুনভিসের বিরুদ্ধে ছয় জনের বেশি নারী যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৬৮ বছরের মুনভিস।
এদিকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে সিবিএস কর্তৃপক্ষ।
যৌন নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনে সিবিএস ও মুনভিস নিজে ২০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ উঠে মুনভিস তার অফিসের কর্মী ও অভিনেত্রীদের যৌন নিপীড়ন করেছেন। তার অসৎ উদ্দেশ্যে সাড়া না দেয়ায় একাধিক নারীকে তিনি ক্যারিয়ার ধ্বংসেরও হুমকি দিয়েছেন।
আরো পড়ুন: তিন শিক্ষিকার যৌন হয়রানির অভিযোগ : শিক্ষক বরখাস্ত, প্রক্টরকে অব্যাহতি
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা, ১৮ জুলাই ২০১৮
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনায় নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ রুহুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টর জাহিদুল কবিরকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, নাট্যকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, একজন সহকারী অধ্যাপক ও একজন প্রভাষককে দীর্ঘদিন ধরে সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ রুহুল আমিন বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। ওই তিন শিক্ষিকা জানান যে রুহুল আমিন যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ দৃষ্টি, চোখ টেপা, অশালীন কথাবার্তা, গায়ে হাত দেয়াসহ নানাভাবে তাদের হয়রানি করতেন। এছাড়া ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কুরুচিপূর্ণভাবে ছবি এডিট করে পাঠানো হতো। সহকর্মী বলে দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানির বিষয়টি চেপে আসছিলেন তারা। সংযত হওয়ার জন্য বেশ অনেকবার রুহুল আমিনকে বুঝিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সভা শেষে কয়েকজন শিক্ষকের সামনে আবার যৌন হয়রানির শিকার হয়ে বিষয়টি আর ধামাচাপা দিয়ে রাখতে পারেননি তারা। পরে ওইদিন বিকেলে যৌন হয়রানির শিকার তিন শিক্ষিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার সকালে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ রুহুল আমিনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন তিনি।
অপর দিকে মঙ্গলবার বিকেলে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের পর আপস মীমাংসার জন্য রাত সাড়ে ১২টা দিকে ইসমতআরা ভূইয়া ইলার বাসায় যান প্রক্টর জাহিদুল কবির। যৌন হয়রানির ঘটনার আপস মীমাংসার চেষ্টা করায় প্রক্টর জাহিদুল কবিরকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেন ভিসি প্রফেসর ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান।
এ ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আজিজুল হককে প্রধান করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর একেএম জাকির হোসেন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়াকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
ইসমত আরা ভুইয়া ইলা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রুহুল আমিন আমাকে ও আমার দুই নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। অনেক সহ্যের পর অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রুহুল আমিন বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ইচ্ছাকৃতভাবে অকৃতকার্য করায় ইলা ম্যাডামের সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছিল। প্রতিবাদ করায় তিনি আমার বিরুদ্ধেমিথ্যে অভিযোগ করেছেন।
প্রক্টর জাহিদুল কবির বলেন, আপস-মীমাংসার জন্য নয়, আমার দায়িত্ববোধ থেকেই আমি ইলার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ভুল ধারণা পোষণ করে আমাকে দোষারোপ করা হয়েছে, অব্যহতি দেয়া হয়েছে।
ভিসি প্রফেসর ড. এএইচএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিন নারী শিক্ষককে যৌন হয়রানির অভিযোগে নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ রুহুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও ভিকটিমদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় প্রক্টর জাহিদুল কবিরকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: রাবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ
রাবি সংবাদদাতা, ০৪ জুলাই ২০১৮
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রী হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের নির্মাণ কাজের মিস্ত্রির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। অভিযুক্ত নুর হোসেনের বাড়ি জামিরা নগরীর বেলপুকুর থানায়। এবং ভূক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থী হল প্রাধ্যক্ষকে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেল ৩ টা ৪০ মিনিটে বঙ্গমাতা হলের ই ব্লকের ৩৭৫ নম্বর রুমের বেলকুনিতে ওই ছাত্রী শুকাতে দেওয়া কাপড় নিতে গেলে। হলের চতুর্থ তলায় নির্মাণ কাজে থাকা রাজমিস্ত্রি নুর তাকে আপু আপু ডাকতে থাকে। কিন্তু ওই ছাত্রী তার কথায় সাড়া না দিয়ে রুমে এসে রুমমেটকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে রুমমেটসহ সে আবার বেলকুনিতে গেলে ওই মিস্ত্রি বিবস্ত্র অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে সেক্সুয়াল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে। পরে ওই মিস্ত্রি হল থেকে পলায়ন করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, এ ঘটনায় আমি প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল প্রাধ্যক্ষ মোছাম্মত ফাহিমা খাতুন বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। শিক্ষার্থীরা আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পরে প্রক্টর, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিব। এবং ওই রাজমিস্ত্রির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা