২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

যুক্তরাষ্ট্র ‘গ্যাংস্টারের মতো’ আচরণ করছে : উত্তর কোরিয়া

মাইক পম্পেও কে বিদায় জানাচ্ছেন কিম ইয়ং চল - ছবি: এএফপি

উত্তর কোরিয়ার সাথে পরমাণু নিরস্ত্রিকরণে যুক্তরাষ্ট্র ‘গ্যাংস্টারের মতো’ আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও উত্তর কোরিয়া সফর করে দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে যাওয়ার পরই এমন অভিযোগ করল পিয়ংইয়ং। বিবিসি


দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের আচরণকে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক বলেও উল্লেখ করেছে উত্তর কোরিয়া।

এদিকে মাইক পম্পেও বৈঠক শেষে দাবি করেছিলেন, তার দু’দিনব্যাপী পিয়ংইয়ং সফরের আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে

দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা যেসব বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনো মিল পাওয়া যায়নি।

গতমাসে সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে শীর্ষ বৈঠকের পর এই প্রথম পিয়ংইয়ং সফর করলেন পম্পেও। কিম ও ট্রাম্পের বৈঠকে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রিকরণের বিষয়ে সমঝোতা হয় কিন্তু তা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

পরমাণু নিরস্ত্রিকরণে উত্তর কোরিয়া চাপ প্রয়োগ করতেই পিয়ংইয়ংয়ে সফর করেছেন পম্পেও। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের শীর্ষ বৈঠক যে আলোচনা হয়েছিল তার বাইরে গিয়ে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রিকরণে একতরফা চাপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। ওয়াশিংটনের বর্তমান আচরণ অব্যাহত থাকলে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

আরো পড়ুন: পরমাণু প্রশ্নে উ. কোরিয়া থেকে‘স্পষ্ট’ প্রতিশ্রুতি চান পম্পেও

নয়া দিগন্ত অনলাইন

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও শুক্রবার উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের নেতা কিম জং উনের ঐতিহাসিক সম্মেলনের পর পম্পেও উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন। উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করতে আরো স্পষ্ট ও বিস্তারিত প্রতিশ্রুতি আদায়ে চাপ দিতেই তিনি এ সফরে যাচ্ছেন। খবর এএফপি’র

গত মাসে সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে সম্মেলন করার পর থেকেই ট্রাম্প শান্তির ব্যাপারে অনেক আশাবাদী এবং তিনি জোর দিয়ে বলেন যে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি আর থাকছে না।

ওই সময় এ দুই নেতা স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রশ্নে সংক্ষিপ্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এক্ষেত্রে পম্পেও পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা উত্তর কোরিয়ার নেতা তার পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপ্তির সুস্পষ্ট ঘোষণা দেবেন এবং এগুলো ধ্বংসের জন্য বেধে দেয়া সময়সীমা মেনে নেবেন।


আরো সংবাদ



premium cement