ভেনেজুয়েলার উপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৩৮
গত বছরের একটি বিতর্কিত নির্বাচনের পর তৃতীয় বারের মতো নিকোলাস মাদুরো ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েছেন। আর এ দিনেই যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার ভেনেজুয়েলার আটজন কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। একই সাথে মাদুরোকে গ্রেফতার করার জন্য পুরস্কারের অর্থ বাড়িয়ে এখন ২ কোটি ৫০ লাখ করেছে।
ভেনেজুয়েলায় জুলাইয়ে ভোটের পর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রশাসন মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে উপর্যুপরি যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে এটি হচ্ছে তার সর্বসাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত। মাদুরোর ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টি এবং ওপেক দেশটির বিরোধীদল উভয়ই তাদের বিজয় দাবি করছে।
নতুন যে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন- ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্র পরিচালিত তেল কোম্পানি পিডিভিএসএ’র নব-নিযুক্ত প্রধান হেক্টর অব্রেগন এবং ভেনেজুয়েলার পরিবহনমন্ত্রী রেমন ভেলাসকুয়েজ।
যুক্তরাষ্ট্র এমন সময় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করলো যখন একই পদক্ষেপ গ্রহণ করে ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
মাদুরো ও তার সহযোগীরা সব সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্যদের নিষেধাজ্ঞাকে এই বলে প্রত্যাখ্যান করেছে যে এগুলো হচ্ছে অবৈধ পদক্ষেপ যা ভেনেজুয়েলাকে পঙ্গু করতে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’।
তিনি এবং তার মিত্ররা এই সব পদক্ষেপ সত্ত্বেও, তাদের কথায়, দেশটির সহনশীলতার প্রশংসা করেন যদিও তারা এর আগে তাদের অর্থনৈতিক কষ্ট এবং অভাবের জন্য নিষেধাজ্ঞাকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছে ।
দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষ এবং শীর্ষ আদালত দাবি করেছে যে মাদুরো গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন তবে তারা বিস্তারিত ফলাফল প্রকাশ করে নাই।
সরকার তাদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র করার জন্য বিরোধী দলকে অভিযুক্ত করেছে এবং বলছে তারা বিরোধীদলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী এডমুন্ডো গোন্জালেজ নির্বাসন থেকে দেশে ফিরে এলে তাকে তারা গ্রেফতার করবে। সরকার এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলীয় সদস্য ও সক্রিয়বাদীদের প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানের আগেই গ্রেফতার করেছে।
বিরোধী দল বলছে, ৭৫ বছর বয়সী গোন্জালেজ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয়ী হন। তারা প্রমাণ স্বরূপ নিজেদের ভোটের হিসাব প্রকাশ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশর সরকারের সমর্থন পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, গোন্জালেজই হচ্ছেন নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
৬২ বছর বয়সী মাদুরো ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন এবং এই নতুন নিষেধাজ্ঞাটি এমন এক সময় এলো যখন এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার মেয়াদ শেষ করতে চলেছেন। ২০ জানুয়ারি তার স্থলাভিষিক্ত হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্র ও একাধিক সরকারের প্রচণ্ড চাপ সত্ত্বেও চীন, রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে মাদুরো ক্ষমতা আঁকড়ে আছেন।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা