২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

করোনাভাইরাস : সবচেয়ে বড় প্রতিকার হচ্ছে সতর্ক থাকা : ডা: আবদুুল্লাহ

-

আতঙ্কিত হবেন না, করোনায় আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী সাধারণ চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। ভয় পাবেন না। যাদেরকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের অবস্থা ভালো আছে। তারা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
চিকিৎসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এ রোগের সবচেয়ে বড় প্রতিকার হচ্ছে সতর্ক থাকা। সতর্কতা বিষয়ে যেসব নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে, সেগুলো সাধ্যমতো মেনে চলার চেষ্টা করুন।
করমর্দন থেকে বিরত থাকবেন। নিয়মিত ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। খাবার ভালোভাবে সেদ্ধ করে খাবেন। সম্ভব হলে গণপরিবহন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। যতটা সম্ভব জনসমাগম আপাতত এড়িয়ে চলতে হবে।
পারতপক্ষে ঘরে থাকুন। প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে যাবেন না। নিয়ম হলো আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে টিস্যু ব্যবহার করবে। সেই টিস্যু পুড়িয়ে ফেলতে হবে; যাতে সেখান থেকে ভাইরাস না ছড়ায়। কেউ যদি রুমাল ব্যবহার করেন তাহলে রুমাল ও হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিবেন। ভালোভাবে হাত না ধুলে সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াবে। তাই সব সময় সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তার পর অন্য কিছু ধরবেন। কারণ এই হাত দিয়ে যা কিছু ধরা হবে সেখানেই ভাইরাস থেকে যেতে পারে। টেবিল, চেয়ার, দরজার হাতল, কিবোর্ডে ভাইরাস থেকে যেতে পারে। সেখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে।
ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিদিনই ঘর পরিষ্কার রাখা দরকার। এটি স্বাস্থ্যসম্মত। বাইরে থেকে এসে হাত-পা ধোয়া ভালো। এর ফলে অন্য রোগ থেকেও দূরে থাকা যাবে। খাবার ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাওয়া দরকার। ডিম পোচ করে না খেয়ে ভালোভাবে ভাজি করে খাওয়া ভালো। কাঁচা যেন না থাকে। ফলমূল ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে। কোনো সবজি দিয়ে সালাদ করার আগে সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
অনেকের গৃহপালিত পশু থাকে। কোনো পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে বা রোগা মনে হলে সেটিকে সরিয়ে নিতে হবে। সেই প্রাণী কাউকে স্পর্শ করলে ভালোভাবে গা ধুয়ে নিতে হবে। সেই প্রাণীর মাধ্যমে রোগ ছড়ানোর ঝুঁঁকি থাকে।
এটা নিয়ে ভয় পাওয়া যাবে না। কেউ আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না। রোগটা যদিও সিরিয়াস, কিন্তু এর মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি নয়। সাধারণত যারা বয়স্ক বা অন্য রোগে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।
দিনে তিন-চারবার সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে এলে হাত না ধুয়ে কোনো কিছু ধরবেন না। ভালোভাবে সেদ্ধ করে খাবেন। কারো হাঁচি-কাশি হলে টিস্যু ব্যবহার করবে। সেই টিস্যু আগুনে পুড়িয়ে ফেলবে। রুমাল ব্যবহার করলে তা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবে। এগুলো পারসোনাল প্রটেকশন। এগুলো করতে হবে।
গৃহপালিত পশুকে অসুস্থ বা রোগা দেখলে সেটিকে সরিয়ে ফেলবেন। সেগুলোর পরিচর্যা করতে গেলে গ্লাভস, গাউন ব্যবহার করবেন।


আরো সংবাদ



premium cement
পারমাণবিক বোমা বিষয়ে ইরানের অসহযোগিতার অভিযোগ পশ্চিমা বিশ্বের, আইএইএ’র ভিন্নমত ‘সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে ছাত্রদল’ ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস ব্রিটেনের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রেসকট মারা গেছেন ১৪ বছর পর ইবি ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ দায়িত্ব নিলেন নতুন আইজিপি বাহারুল আলম উখিয়ার সীমান্তে ১ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার আমেরিকার পর এবার ব্রিটিশ অস্ত্রে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা ইউক্রেনের চুয়াডাঙ্গায় ভারতীয় মাদকসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া

সকল