নির্বাচনী পোস্টারে ২৫০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য
- ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণার জন্য প্রথম ১২ দিনে প্রায় ২৫০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। প্রতিযোগী প্রার্থীরা তাদের পোস্টার, লিফলেট এবং কর্মীদের পরিচয়পত্রের জন্য এসব প্লাস্টিক ব্যবহার করেছেন। পরিবেশবিষয়ক বেসরকারি সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা এসডো গবেষণার ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ঢাকা শহরের ৪৮টি প্রেস এবং প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্লাস্টিক দূষণের এই ভয়াবহ চিত্র দেখেছেন। প্রধান দুই দলের মেয়র প্রার্থীদের প্রত্যেকে গড়ে ৩০ লাখের বেশি প্লাস্টিকে মোড়ানো পোস্টার টাঙিয়েছিলেন। এ বছর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মেয়র ও কাউন্সিলর আনুমানিক ৩০ কোটি লেমিনেটেড পোস্টার টাঙিয়ে ছিলেন।
যদিও ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার ছাপা এবং প্রদর্শন বন্ধের জন্য গত ২২ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হয়নি বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা। প্রার্থীদের পক্ষে যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন, তারা বিষয়টি খুব একটা আমলে নেয়নি। কুয়াশা ও সম্ভাব্য বৃষ্টি থেকে কাগজের পোস্টারকে রক্ষা করার জন্যই অনেক জায়গায় প্লাস্টিকে মোড়ানো হলেও নির্বাচন শেষেও ঢাকার রাস্তায় দেখা মিলছে নির্বচনী পোস্টারের। পোস্টার অপসারণ শুরু হলেও লেমিনেটিং পোস্টার হওয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে কর্মীদের। নির্বাচিত মেয়ররা ৩ দিনের মধ্যে পোস্টার সরিয়ে ফেলার প্রতিশ্র“তি দিয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধিতে, নির্বাচন শেষে পোস্টার প্রার্থীর সরানোর নিদের্শনা রয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, হার-জিতের পর প্রার্থীরা সরান না পোস্টার। তবে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে পোস্টার সরানোর কাজ। করছে দুই সিটি করপোরেশন। কাজের এই গতি কম হলেও কিছু রাস্তার পাশে জমা হচ্ছে কাগজের স্তূপ। নির্বাচনের পর এসব পোস্টারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশন না নিলে এগুলো শেষ পর্যন্ত শহরের ড্রেন, নালা ও নর্দমায় এসব প্লাস্টিকের স্থান হবে বলে ধারণা করছেন পরিবেশবাদীরা।