দুয়ারে কড়া নাড়ছে বইমেলা
- ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
বছর ঘুরে আবারো আসছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। আর মাত্র কয়েক দিন বাকি আছে। তার পরই শুরু হবে ভাষার মাস ফেব্র“য়ারি। যার সূচনার দিনই শুরু হবে একুশের চেতনায় ঋদ্ধ অমর একুশে গ্রন্থমেলা। চলবে পুরো মাস। তাই বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এখন চলছে বইয়ের স্টল নির্মাণের জোর প্রস্তুতি। সেখানে মেলার মাঠে গেলেই শোনা যাচ্ছে হাতুড়ি-পেরেকের ঠুকঠাক আওয়াজ। বাংলা একাডেমি কর্তৃক স্টল বরাদ্দ দেয়ার পর এখন চলছে বিভিন্ন প্রকাশনীর নান্দনিক স্টল নির্মাণের প্রস্তুতি। ১ ফেব্র“য়ারি থেকে অমর একুশে বইমেলার জমজমাট আসর বসবে। প্রতিদিন হাজারো বইপ্রেমী দর্শনার্থী, লেখক, কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে বইমেলা প্রাঙ্গণ।
চলতি বছরের আসন্ন এ বইমেলায় রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সর্বমোট ৬৬২টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে বাংলা একাডেমি।
গতবারের চেয়ে এবার স্টলের ইউনিট বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩৩টি। এবারের মেলায় নতুন ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে স্টল দেয়া হয়েছে। বেড়েছে ১২টি প্যাভিলিয়ন। গতবার প্যাভিলিয়ন ছিল ১১টি। এ বছর ২৩টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পুরনো প্রকাশনা সংস্থা ১১ ও নতুন প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১২টি সংস্থাকে।
আয়োজকরা জানান, অন্যবারের মতো এবারের মেলায় দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি পর্যন্ত সড়কটিতে কোনো হকার বসতে দেয়া হবে না। এই সড়কটি দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এ দিকে সময় ঘনিয়ে আসায় বরাদ্দপ্রাপ্ত স্টল মালিকরা বর্তমানে তাদের নিজ নিজ স্টল সাজাতে ব্যস্ত। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে সাজ সাজ রব। কোথাও ইট, কোথাও বালু, কোথাও বা বাঁশ স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
কাঠমিস্ত্রিরা হাতুড়ি বাটাল নিয়ে স্টলের অবকাঠামো নির্মাণে ব্যস্ত। ছোট স্টলগুলো টিন, বাঁশ ও প্লাইবোর্ডে নির্মিত হলেও বড় স্টল অর্থাৎ প্যাভিলিয়ন স্টলগুলোর কোনোটি স্টিল ও ইট-সিমেন্টে তৈরি করা হচ্ছে। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ইট-বালু ফেলে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। স্টল মালিকরা সামনে দাঁড়িয়ে থেকে নিজেদের পছন্দমাফিক স্টল নির্মাণের নির্দেশনা দিচ্ছেন।